📅 ২১ মার্চ ২০২৫ | খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
✍️ নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুরে রাস্তা উদ্বোধনে গিয়ে মহিলাদের তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ঘটনাস্থলে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে পরিস্থিতি, যা ঘিরে তৈরি হয়েছে চরম রাজনৈতিক বিতর্ক। দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।
🔥 ‘চেঁচাবে না, গলা টিপে দেব’ — বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপ ঘোষের!
শুক্রবার দুপুরে খড়্গপুর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়া এলাকায় একটি ঢালাই রাস্তার উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে উপস্থিত মহিলাদের একাংশ প্রশ্ন তোলেন, “সাংসদ থাকাকালীন আপনি কোথায় ছিলেন?” বিক্ষোভকারীদের দাবি, রাস্তা তৈরির কাজ করেছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ সরকার, অথচ দিলীপ ঘোষ এসে তার উদ্বোধন করছেন।
এ নিয়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি টাকা দিয়েছি, কারও বাপের টাকা নয়!” মহিলারা পাল্টা প্রতিবাদ করলে তিনি আরও বলেন, “চোদ্দোপুরুষ তুলব, এই চেঁচাবে না, গলা টিপে দেব!”
🎯 বিক্ষোভ, ধাক্কাধাক্কি, পুলিশের হস্তক্ষেপ
এই ঘটনায় মুহূর্তে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি কর্মী ও দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষীরা বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করেন। পরে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দিলীপ ঘোষের গাড়ি ঘিরে বসে পড়েন মহিলারা, কেউ কেউ গাড়িতে চাপড়ও মারেন।
শেষমেশ নিরাপত্তার মাঝে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান দিলীপ ঘোষ।
🗣️ তৃণমূলের কড়া প্রতিক্রিয়া: ‘ক্ষমা চাইতে হবে’
খড়্গপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ও তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ সরকার বলেন,
“উনি এখন আর সাংসদ নন, তবুও রাস্তা উদ্বোধন করতে গেলেন কেন? মহিলাদের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করে ওঁর আসল চেহারা বেরিয়ে এসেছে। ৫০০ টাকার চাকর বলে মহিলাদের অপমান করেছেন। দিলীপ ঘোষের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। না হলে খড়্গপুরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই বিক্ষোভ চলবে।”
🗳️ বিজেপির পাল্টা দাবি: ‘তৃণমূলের প্ররোচনায় বিক্ষোভ’
বিজেপি সূত্রের দাবি, পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলের সমর্থিত মহিলারা বিক্ষোভে অংশ নেন। দিলীপ ঘোষ নিজেও বলেন,
“তৃণমূলের উস্কানিতে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। আমি নিজে ওই রাস্তার অর্থ বরাদ্দ করেছিলামশকথ
📌 শেষকথা: দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ঘিরে রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীদের কড়া নিন্দার মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। এখন দেখার বিষয়, বিজেপি কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে ও দিলীপ ঘোষ আদৌ ক্ষমা চান কি না।