২০২৫ সালের মে মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের সংলাপে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন। তিনি ২০০১ সালের ৯/১১ হামলা থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগামে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার মধ্যে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি তুলে ধরেন। এই হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হন, যা ভারতের জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি হুমকি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বিষয়ে একযোগে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
🌐 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপ
পাহেলগাম হামলার পর দক্ষিণ কোরিয়া এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানায় এবং ভারতের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াই করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যার মধ্যে রয়েছে ইন্দাস জল চুক্তি স্থগিত করা, আত্তারি সীমান্ত চেকপোস্ট বন্ধ করা, এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা।


🛡️ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃঢ় অবস্থান
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাহেলগাম হামলার পর বলেন, “এটি সময় এসেছে পাকিস্তানকে তাদের ভাষায় জবাব দেওয়ার। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) পুনরুদ্ধার করার সময় এখন।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের উচিত ছোটখাটো রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। ভারত সরকারের কূটনৈতিক পদক্ষেপ এবং অভিষেকের দৃঢ় অবস্থান একত্রে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে