Home » শিক্ষক চাকরি বাতিলের বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় ঘোষণা, জেনে নিন কী বললেন তিনি
শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ডিসেম্বরের মধ্যে হবে নতুন নিয়োগ। চাকরিচ্যুতদের জন্য আশার বার্তা।
Table of Contents
Share Our Blog :
Facebook
WhatsApp
কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার (২৭ মে) নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গবাসীর উদ্দেশে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন। এই রায় অনুযায়ী একদিকে যেমন বহু শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের বিষয়টি বহাল রাখা হয়েছে, তেমনই ‘দাগি নন’ এমন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি আপাতত বহাল রাখা হয়েছে।
কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমি আগেই বলেছিলাম, আমরা চেষ্টা করব যাতে যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের যেন কোনও সমস্যা না হয়।” তিনি আশ্বাস দেন যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হবে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্পন্ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন,
“আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা সঠিক পদক্ষেপ নেব। তাড়াহুড়ো করা যাবে না। সরকারের ওপর ভরসা রাখুন।”
কেন এত বিতর্ক?
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের রায় অনুযায়ী, এসএসসি মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে। এই রায়ে বহু চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তেমনি নিয়োগপ্রত্যাশীদের মধ্যে আবার আশার আলো দেখা দিয়েছে।
চাকরিচ্যুত শিক্ষক ও চাকরিপ্রার্থীদের সংগঠন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে যদি তার আগে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।
তাদের বক্তব্য,
“আর প্রতিশ্রুতি নয়, আমরা ফলপ্রসূ পদক্ষেপ চাই।”
রাজ্য সরকারের অবস্থান
রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েই আইন অনুযায়ী নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে। পাশাপাশি, যারা অন্যায়ভাবে চাকরি হারিয়েছেন বলে মনে করছেন, তাঁদের বিষয়ে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
এখন সব দৃষ্টি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরবর্তী বাস্তবায়নের দিকে। রাজ্য সরকার কতটা দ্রুত এবং কার্যকরভাবে পদক্ষেপ নেয়, তা দেখার বিষয়। এই সংকটের স্থায়ী সমাধান না হলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠতে পারে।
রাজভবনে চৌরঙ্গীর ফুল নাটক প্রদর্শনের সময় বাজল ‘আমি কলকাতার রসগোল্লা’র মতো চটুল গান। রাজ্যপালের রচনায় নাট্যাভিনয় দেখে অনেকের প্রশ্ন—রাজভবনের গরিমা কি তবে বিনোদনের ভিড়ে হারিয়ে গেল?
বাংলাভাষীদের পরিকল্পিতভাবে দেশছাড়া করছে বিজেপি? আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা HRW-এর রিপোর্ট উদ্ধৃত করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে ‘সংবিধান লঙ্ঘন’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
বিহার নির্বাচনের মুখে সাংবাদিকদের জন্য বড়সড় পেনশন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল নীতীশ কুমার সরকার। ‘বিহার পত্রকার সম্মান পেনশন স্কিম’-এর আওতায় ৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হল ১৫ হাজার টাকা মাসিক পেনশন। প্রয়াত সাংবাদিকদের স্ত্রী বা স্বামীও পাবেন আজীবনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে পেনশন। এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পুজো আগেই এসেছে, আর আসছে চাঁদার ‘লক্ষ্মীলাভ’। এবারে দুর্গাপুজোয় কমিটি পিছু এক লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাসের শেষে নেতাজি ইনডোরে হতে পারে বৈঠক। থাকছে আগের মতোই বিদ্যুৎ ছাড় ও লাইসেন্স ফি মকুবের সম্ভাবনা।