কলকাতা, ২ জুন ২০২৫ – তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন। তাঁর কথায়, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় ফাঁক থেকে যাচ্ছে, এবং তা আড়াল করতেই ‘অপারেশন পশ্চিমবঙ্গ’-এর মতো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

🔥 পহেলগাঁও হামলা নিয়ে প্রশ্ন: বিএসএফ কোথায় ছিল?
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, “পহেলগাঁওয়ে এত জঙ্গি ঢুকে গুলি চালিয়ে বেরিয়ে গেল – নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ তখন ঘুমাচ্ছিলেন?”
তিনি বলেন, যখন পশ্চিমবঙ্গে সামান্য কিছু হয়, তখনই বিএসএফ, সিআইএসএফ হাজির হয়ে যায়। অথচ জম্মু-কাশ্মীরের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় এমন নিরাপত্তা ফাঁকি কীভাবে সম্ভব?
🔁 “অপারেশন সিঁদুর” ও “অপারেশন পশ্চিমবঙ্গ” প্রসঙ্গে মন্তব্য
তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে “অপারেশন সিঁদুর” করছে। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন করতেই এই অভিযান। তিনি বলেন, “অপারেশন পহেলগাঁও নিয়ে সংসদে বলুন, তারপর দেখবেন অপারেশন মোদী-অমিত শাহ হয়ে যাবে।”

📉 “৪০০ আসনের স্বপ্নে রিগিং”: অমিত শাহকে আক্রমণ
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে “রিগিং মাস্টার” আখ্যা দিয়ে বলেন, “সবচেয়ে বেশি রিগিং করেছে অমিত শাহ। গুজরাটেও কম করেনি।”
তিনি ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপির ৪০০ আসনের দাবি নিয়েও কটাক্ষ করেন – “তখন বলেছিল ৪০০ হবে, এখন কী হলো?”
🗳️ “হিম্মত থাকলে নতুন করে ভোট করুক বিজেপি”
তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। মুর্শিদাবাদে ৩৫৫ ধারা জারি করার দাবি করেও কিছু পায়নি বিজেপি।
তিনি বলেন, “হিম্মত থাকলে আবার নির্বাচন হোক। কাঁচকলা দেখিয়ে দেবে বাংলার মানুষ।”

⚖️ নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী, এবং বিজেপির যোগসূত্র?
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তোমার লোক, বিএসএফ-সিআইএসএফ তোমার লোক, গুন্ডা দাপ্পাবাজ খুনি – সবাই তোমার সঙ্গে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তোমার সঙ্গে নেই।”