কলকাতা: ভারতের টেলিকম মন্ত্রক অবশেষে এলন মাস্কের স্পেসএক্স-নিয়ন্ত্রিত স্টারলিংক প্রকল্পকে GMPCS (Global Mobile Personal Communication by Satellite) লাইসেন্স দিয়েছে। এই লাইসেন্স প্রাপ্তির ফলে স্টারলিংক এখন ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে পারে, যা দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে হাই-স্পিড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

কী এই GMPCS লাইসেন্স?
GMPCS লাইসেন্স হল একটি সরকারি ছাড়পত্র যা সংস্থাগুলোকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভারতের মধ্যে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানের অনুমতি দেয়। ইতিমধ্যেই OneWeb (Airtel-এর অংশ) ও Jio Satellite Communication এই লাইসেন্স পেয়েছে। এখন Starlink হল তৃতীয় সংস্থা।

মাস্ক ও মোদীর আলোচনার প্রভাব
সূত্র অনুযায়ী, মার্চ মাসে এলন মাস্কের প্রতিনিধি দল ভারতের শীর্ষ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছিল। সেই বৈঠকেই সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে যে, কিছু নির্দিষ্ট নিরাপত্তা শর্ত পূরণ হলে স্টারলিংককে অনুমোদন দেওয়া হবে। সেই সব শর্ত পূরণ করেই এই লাইসেন্স পেল Starlink।

কীভাবে বদলে যাবে ভারতের ডিজিটাল মানচিত্র?
ভারতের গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকাগুলিতে যেখানে ব্রডব্যান্ড এখনও পৌঁছায়নি, সেখানেই সবচেয়ে কার্যকর হতে চলেছে স্টারলিংকের পরিষেবা। এতে যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটাল পরিষেবা পৌঁছানো সহজ হবে, তেমনই ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্প এক নতুন গতি পাবে।

চ্যালেঞ্জ কোথায়?
তবে সব কিছু এখনই শুরু হচ্ছে না। লাইসেন্স পাওয়ার পরেও স্টারলিংককে আরও কিছু নিরাপত্তা যাচাইয়ের প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, যেমন — ইন্ডিয়ান স্পেস রেগুলেটরি অথরিটি ও ইন্টারনেট পরিষেবার ট্রায়াল পর্ব। অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৫-এর শুরুতেই পরিষেবা শুরু করতে পারে স্টারলিংক।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা জিও ও ওয়ানওয়েবের সঙ্গে
ভারতের বাজারে স্টারলিংক প্রবেশের ফলে Jio এবং Airtel–এর স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার সঙ্গে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হবে। তবে গ্রাহকের লাভ তাতে নিশ্চিত — কারণ প্রতিযোগিতা মানেই আরও উন্নত পরিষেবা ও কম খরচ।