সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘অপারেশন সিন্ডুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানবিরোধী কূটনৈতিক প্রচারের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা। কিন্তু বিরোধী শিবিরের দাবি, এই বৈঠক ছিল ‘ফলপ্রসূ নয়’ এবং বিদেশনীতি কার্যত ব্যর্থ হয়েছে।
কী ছিল ‘অপারেশন সিন্ডুর’?
- ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ৩৩টি দেশের রাজধানীতে গিয়ে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে প্রচার চালিয়েছেন।
- তাদের লক্ষ্য ছিল:
✅ পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসে মদতদাতা প্রমাণ করা
✅ ভারতের অবস্থান তুলে ধরা
✅ বিশ্বমঞ্চে ঐক্যবদ্ধ বার্তা পৌঁছে দেওয়া

🗣 মোদীর বক্তব্য কী ছিল?
প্রধানমন্ত্রী মোদী বৈঠকে বলেন,
“এই যৌথ প্রচার ভারতের শক্তি ও ঐক্যের প্রতীক। বিশ্বের কাছে ভারতের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।“
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা ভবিষ্যতেও জারি থাকবে।

🏛 বিরোধীদের বক্তব্য কী?
কংগ্রেস, AIMIM সহ একাধিক বিরোধী দল জানায়:
- এই প্রচারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ হয়নি।
- বিদেশনীতি দুর্বল, আর প্রচার যতই হোক, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাড়া তা অর্থহীন।
- কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন,
“আমরা শুধু বক্তব্য দিয়ে কাজ সারতে পারি না, প্রভাব ফেলতে হলে প্রমাণ ও কৌশল দরকার।“
🌍 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- কিছু মিডল ইস্ট ও ইউরোপীয় দেশ ভারতীয় প্রতিনিধিদের বার্তা শুনেছে, তবে পাকিস্তানকে সরাসরি দোষারোপ করে কোনও সিদ্ধান্তে আসেনি।
- ফিনান্সিয়াল টাইমস এবং টাইমস অফ ইন্ডিয়া–র মতে, ভারত-পাকিস্তান উভয় দেশই নিজেদের বক্তব্যকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্পিন করতে ব্যস্ত।
‘অপারেশন সিন্ডুর’ একদিকে ছিল ঐক্যবদ্ধ কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, কিন্তু অন্যদিকে বিরোধীরা এটিকে দেখছেন একমাত্রিক প্রচার হিসাবে। পাঠকের জানা উচিত, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে সফলতা নির্ভর করে বক্তব্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি চাপ সৃষ্টি ও কৌশলী কার্যক্রমের উপর।