বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা যেন নির্বিঘ্ন, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল হয়—সেই লক্ষ্যেই এবছর আগেভাগেই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা শহরের প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন, পুজোর থিম ঘোষণার আগেই সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটিগুলির কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

এই নির্দেশ পাওয়ার পরই প্রস্তুতিতে গতি এনেছে শহরের প্রথম সারির পুজো কমিটিগুলি। উত্তর কলকাতার টালা প্রত্যয়ের মতো শতবর্ষ-উৎসব পালনকারী কমিটি হোক বা দক্ষিণ কলকাতার বেহালার হীরক জয়ন্তী উদ্যাপনরত পুজো মঞ্চ—সবাই শুরু করে দিয়েছেন প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ।

🎯 পুলিশ কমিশনারের নির্দেশের মূল দিকনির্দেশনা:
- থিম ঘোষণার আগে পূর্ণাঙ্গ তথ্য জমা
- ভিড় সামলাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক টিম রাখা
- বর্ষা ও জলমগ্নতার ঝুঁকি মূল্যায়ন ও রিপোর্ট
- সিভিক পুলিশ ও থানা–কেন্দ্রিক ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা
- প্যান্ডেল এলাকার প্রবেশ ও বাহির পথ চিহ্নিতকরণ ও দিকনির্দেশনা লাগানো বাধ্যতামূলক
বিশেষ করে যেসব পুজো মণ্ডপে প্রতিবছর ভিড় চোখে পড়ে—যেমন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, নাকতলা উদয়ন সংঘ, বা একডালিয়া এভারগ্রিন—সেখানে আগাম তথ্য বিশ্লেষণের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

একাধিক পুজো কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসনের এমন আগাম পরিকল্পনা প্রশংসনীয়। বর্ষাকালীন পুজোর কারণে জল জমে যাওয়ার সম্ভাবনা যেমন থাকে, তেমনই বিপুল জনসমাগম সামলানোও বড় চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রাখলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেকটাই হ্রাস পাবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি পুজো কমিটির থিম, লোকসমাগমের আনুমানিক হিসাব, পরিবহন ও অ্যাক্সেস রুট এবং বৃষ্টির সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়ন করে একটি ‘রিস্ক প্রোফাইল’ তৈরি করা হবে, যা প্রতিটি থানার অন্তর্গত পূজা ব্যবস্থাপনার অংশ হয়ে উঠবে।