দ্য ইন্ডিয়ান ক্রনিকলস ডিজিটাল ডেস্ক
🗓️ তারিখ: ২৮ জুন ২০২৫
সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার কসবা আইন কলেজে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত ‘এম’-এর কলেজে অস্থায়ী নিয়োগ এবং সেই পেছনে তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেবের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অশোক দেব জানান, “আমি কোনো চাকরির সুপারিশ করিনি।”

🧾 কী ঘটেছিল?
কলেজের এক ছাত্রী, যিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী বলে পরিচিত, অভিযোগ করেন—তাঁকে ধর্ষণ ও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তের নাম উঠে আসে, যিনি ওই কলেজে ৪৫ দিনের জন্য অস্থায়ী পদে নিযুক্ত ছিলেন। প্রশ্ন ওঠে—এই নিয়োগ কীভাবে এবং কার সুপারিশে হল?

🎙️ অশোক দেবের বক্তব্য
তৃণমূলের বিধায়ক এবং কলেজ পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান অশোক দেব সাফ জানিয়েছেন,
“আমি কোনো সুপারিশ করিনি। আমি কলেজ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন, দোষী শাস্তি পাক।”
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত ছাত্রকে এর আগেও কলেজ চত্বরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিয়োগ প্রসঙ্গে কোনো ব্যক্তিগত সুপারিশ তাঁর ছিল না।
🏛️ বিরোধীদের প্রশ্ন ও চাপ
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ—কলেজে তৃণমূলের প্রভাব অতিমাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। ছাত্র সংগঠনের ছত্রছায়ায় বহু অনিয়ম হচ্ছে। অভিযুক্তের নিয়োগ ও কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তাঁরা দাবি করেছেন,
“এটি দলীয় ছত্রছায়ায় অপরাধীদের প্রতিষ্ঠিত করার নতুন উদাহরণ।”

🔍 তদন্ত চলছে
ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পাশাপাশি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমস্ত নথিপত্র জমা দেওয়া হয়েছে এবং তাঁরা তদন্তে সর্বতোভাবে সহায়তা করছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও আলোচনায় এসেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, ছাত্রনেতৃত্বের অপব্যবহার এবং তৃণমূল পরিচালিত কলেজ বোর্ডের দায়বদ্ধতা।
‘কেউ সুপারিশ করেনি’ বললেও, কীভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি কলেজে চাকরি পেল—তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।