প্রতিবেদন: The Indian Chronicles | তারিখ: ৩০ জুন, ২০২৫
ঘটনা সংক্ষেপ:
কসবার আইন কলেজ (Kasba Law College Rape Case) কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা মনোজিত মিশ্র (Manojit Mishra) ধৃত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে পাওয়া নানা বয়ান ও তথ্য এই প্রাক্তন আইনের ছাত্রের বিকৃত মানসিকতারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
কে এই মনোজিত মিশ্র?
- পরিচিত নাম ‘ম্যাঙ্গো’।
- ২০২১ সালেই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট থেকে বহিষ্কৃত হয় খারাপ ব্যবহারের কারণে।
- সহপাঠীদের অভিযোগ: অশালীন মন্তব্য, গোপনে ছবি ও ভিডিও তোলা, ছাত্রীদের ‘তুমি আমায় বিয়ে করবে?’ বলে জোরপূর্বক ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করা ছিল তাঁর প্রতিদিনের অভ্যাস।
- অভিযোগ আরও গুরুতর: মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও শুট করে বন্ধুদের দেখাত এবং কুরুচিকর ভাষায় শরীর নিয়ে মজা করত।
ধর্ষণের আগে ছিল পরিকল্পিত ঘনিষ্ঠতা?
ধৃত মনোজিত প্রথমে কথার ফাঁকে “তুমি আমায় বিয়ে করবে?” বলে ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করে। সেই মুহূর্ত থেকে ধীরে ধীরে তাকে একটি মিটিংয়ে ডেকে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানে তাকে তিন অভিযুক্ত — জৈব আহমেদ (J), মনোজিত মিশ্র (M) ও প্রমিত মুখোপাধ্যায় (P) মিলে ঘিরে ধরে এবং নির্জন ঘরে নিয়ে গিয়ে অপরাধ ঘটায়।
কী বলছে পুলিশ ও মেডিক্যাল রিপোর্ট?
- পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে।
- প্রথম দুজনকে ধরা হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালবাগান ক্রসিংয়ের সামনে থেকে।
- রাত ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ বাড়ি থেকে তৃতীয় অভিযুক্ত ধরা পড়ে।
- মেডিক্যাল রিপোর্ট: ছাত্রীর শরীরে পাওয়া গেছে যৌন হিংসার একাধিক চিহ্ন — কামড়ের দাগ, আঁচড়, জোরপূর্বক শারীরিক সংযোগের স্পষ্ট প্রমাণ।
তদন্তে SIT গঠন:
ঘটনার ভয়াবহতা মাথায় রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের Special Investigation Team (SIT) গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই মামলাকে “সেক্সুয়াল প্রিডেটর সিন্ড্রোম”-এর উদাহরণ হিসেবে দেখারও প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
এই ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাস, রাজনৈতিক মহল ও সমাজজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে— ছাত্রনেতা হয়ে এমন বিকৃত মানসিকতার কেউ এতদিন কীভাবে কলেজের অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার করল? কেন আগের অভিযোগগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি?