দিল্লি বনাম বাংলা? অবশেষে নির্বাচন কমিশনের নিয়মে পরিবর্তন, মমতার দাবিরই প্রতিফলন?
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একগুচ্ছ প্রশ্ন ও প্রতিবাদের কয়েক দিনের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে জাল ভোটার ঠেকাতে বিশেষ বা নিবিড় সমীক্ষার নির্দেশিকা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সেই নির্দেশিকায় বাবা-মায়ের জন্ম সনদের মতো অতিরিক্ত নথি চাওয়ার নিয়মে তীব্র আপত্তি তোলে তৃণমূল নেতৃত্ব।
মমতা বলেছিলেন, “গরিব মানুষদের পক্ষে এইসব নথি জোগাড় করা অসম্ভব। এতে তরুণ প্রজন্ম ও পরিযায়ী শ্রমিকদের টার্গেট করা হচ্ছে।” প্রশ্ন তোলেন—এ কি গোপনে এনআরসি চালুর চেষ্টা?
সেই প্রেক্ষিতেই সোমবার (২৪ জুন) নির্বাচন কমিশনের নতুন বিজ্ঞপ্তি কার্যত আগের কঠোর শর্ত শিথিল করল। জানানো হয়েছে,
- ২০০৩ সালের বিহার ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তাঁদের নতুন করে কোনও নথি জমা দিতে হবে না।
- মা-বাবার জন্মপ্রমাণের প্রয়োজন নেই—২০০৩ সালের তালিকাই যথেষ্ট।
- প্রায় ৬০% ভোটার শুধু ইএফ ফর্ম পূরণ করলেই চলবে।
এই পরিবর্তনের পরে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, মমতার চাপেই কি নতিস্বীকার করল কমিশন?
তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদই কমিশনের এই পরিবর্তনের কারণ। দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় বারবার তিনিই ব্যাটন ধরেন।” তবে তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতে, “দুটি বিজ্ঞপ্তির মধ্যে ফারাক বিশেষ নেই, এটা মূলত বাংলাকে নিশানা করার চক্রান্ত।”
মঙ্গলবার তৃণমূলের প্রতিনিধিদল কমিশনের দফতরে গিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবে। দলের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকাশ চিক বরাইক, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও অরূপ বিশ্বাস।