দ্য ইন্ডিয়ান ক্রনিকলস | স্পেশাল রিপোর্ট | ১ জুলাই ২০২৫
এ যেন ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’-এর হাতছানি নয়, বরং ভয়াবহ বাস্তব। ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ। স্বপ্নের ইউরোপ এখন উত্তপ্ত কড়াইয়ের মতো। এই গ্রীষ্মে তাপমাত্রার এমন উত্থান বহু দশকে দেখা যায়নি। আবহাওয়াবিদরা এই চরম আবহাওয়াকে জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব বলে মনে করছেন।

🔥 ইউরোপের ‘হিট ম্যাপ’ এখন ভয় ধরানো!
- স্পেনের দক্ষিণ-পশ্চিমে লা গ্রানাদো শহরে পারদ ছুঁয়েছে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস—গত ৬০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
- সুইৎজ়ারল্যান্ডের জুরিখ ও জেনেভার তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৫ ডিগ্রি, যা ভারতের কলকাতা (৩০°) ও দিল্লির (২৭°) তুলনায় বেশি।
- পর্তুগালে আলভেগা শহরে তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪৫ ডিগ্রিতে, লিসবনে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৪২ ডিগ্রি।
- ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহরগুলিতে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি, দাবানলে পুড়ছে বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল।
- ইটালির নেপল্স ও পালেরমোতে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি ছুঁয়েছে, কাজকর্ম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
- গ্রিসে দাবানলের দোসর হয়ে উঠেছে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা, এথেন্সের প্রবেশপথ আংশিক বন্ধ।
- ব্রিটেনে উইম্বলডনের মতো ক্রীড়াক্ষেত্রেও খেলোয়াড়েরা হার মানছেন গরমের কাছে। তিউনিসিয়ান খেলোয়াড় ওন্স জাবেউর মাঝমাঠে খেলা ছেড়ে দেন।

🌍 কেন এই পরিস্থিতি?
আবহাওয়াবিদদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, পশ্চিম ইউরোপে একটি উচ্চচাপ বলয়ের অবস্থান ও উত্তর আফ্রিকা থেকে গরম বায়ু আসায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস এবং বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে,
এই ধরণের তাপপ্রবাহে ইউরোপের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভবিষ্যতে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বেন। রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, চরম আবহাওয়া যেমন বন্যা, খরা, তাপপ্রবাহ—ইউরোপে এর হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

📉 জীবনযাত্রার উপরে প্রভাব:
ইউরোপের বহু শহরে জল সংকট, বনভূমিতে আগুন, রাস্তার কাজ বন্ধ, ভ্রমণ স্থগিত এবং হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ছে। দক্ষিণ ইউরোপে একাধিক এলাকা ‘বাসযোগ্যতা হারানোর’ দিকে এগোচ্ছে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।