বিশেষ প্রতিবেদন | দ্য ইন্ডিয়ান ক্রনিকলস
ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা ডায়েট কোক বের করে এক চুমুক! শরীর-মনে এক ধাক্কায় স্বস্তি। এই ছোট্ট মুহূর্তটাই এখন নেটদুনিয়ার ভাষায় ‘ফ্রিজ সিগারেট’। যদিও এতে ধোঁয়া নেই, আগুনও নেই, কিন্তু মানসিক শান্তির বিকল্প হিসেবে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন এই ঠান্ডা পানীয়কে।
এই ট্রেন্ডের সূচনা হয় আমেরিকার নিউ ইয়র্কে, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার র্যাচেল রেনো-র একটি ভাইরাল ভিডিও থেকে। তিনি বলেছিলেন— “কেউ বলছিল ডায়েট কোক হল ফ্রিজ সিগারেট। আর জীবনে এমন সত্যি আগে শুনিনি!” ভিডিওটি ভাইরাল হতেই জেনারেশন Z দুনিয়া জুড়ে এই ‘ডিজিটাল রিল্যাক্সেশন রিচুয়াল’-এর ফলোয়ার হয়ে ওঠে।
কেন ‘ফ্রিজ সিগারেট’?
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ট্রেন্ডকে অনেকে তুলনা করছেন সিগারেট ব্রেকের সঙ্গে। কাজের মাঝে স্ট্রেস কাটাতে যেমন কেউ ধূমপান করেন, তেমনই অনেকেই এখন ঠান্ডা ডায়েট কোক-এ খুঁজছেন মানসিক প্রশান্তি।

র্যাচেলের মতে, “ক্যান খোলার ক্লিক শব্দটা যেন লাইটারের আওয়াজ। তারপর বুদবুদের ফিজ়… প্রথম চুমুকেই যেন এক মাইন্ডফুল রিলিফ।”
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন এই আচরণ নিয়ে?
মনোবিদ ডঃ বিষ্ণু গাড়ে বলেন, এই অভ্যেসকে বলা হয় ‘ইমোশনাল কনসোলেশন’— মানে জল বা পিপাসা মেটাতে নয়, বরং মনের খিদে মেটাতে ফ্রিজে ঢুঁ মারা। এই অভ্যেসে ক্ষতি নেই, যদি তা সীমিত হয়।

অন্যদিকে নিউট্রিশনিস্ট দিব্যা মালিক জানাচ্ছেন—
“নাম ডায়েট হলেও ডায়েট কোক একেবারেই হারmless নয়। এতে থাকা অ্যাসপারটেম নামক কৃত্রিম মিষ্টি অতিরিক্ত খেলে ওজন, ব্লাড সুগার ও গাট হেলথে প্রভাব ফেলতে পারে।”
তাহলে ফ্রিজ সিগারেট খারাপ?
এক কথায় উত্তর— না, যদি পরিমিত হয়। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যেকোনও আচরণই ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে, যদি তা দৈনন্দিন অভ্যেসে পরিণত হয়। তাই ডায়েট কোক-এ স্বস্তির খোঁজে চুমুক মারতেই পারেন, তবে সেটা যেন স্ট্রেসের একমাত্র ওষুধ না হয়ে ওঠে।