স্পেশাল রিপোর্ট | The Indian Chronicles
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) চলতি সপ্তাহে এক ঐতিহাসিক বিদেশ সফরে বেরিয়েছেন। ৮ দিনের এই সফরে তিনি একসঙ্গে ৫টি দেশ ঘুরবেন—ঘানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং নামিবিয়া। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই তাঁর সবচেয়ে দীর্ঘ বিদেশ সফর। কূটনৈতিক মহলের মতে, এটি মোদীর অন্যতম কৌশলগত এবং প্রতীকী সফর, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ব্রাজিলে আয়োজিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন।

সফরের সূচনা ও পরিকল্পনা:
বুধবার সকালেই এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান-এ চড়ে মোদী দিল্লি ত্যাগ করেন। সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে তিনি জানান,
“আগামী কয়েকদিন, আমি ঘানা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল এবং নামিবিয়ায় বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক এবং অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগ দেব। বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গোটা বিশ্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করব।”
Over the next few days, I will be attending various bilateral, multilateral and other programmes in Ghana, Trinidad & Tobago, Argentina, Brazil, and Namibia. Looking forward to interacting with world leaders and discussing ways to make our planet better. https://t.co/tg3FOwtceh
— Narendra Modi (@narendramodi) July 2, 2025
ঐতিহাসিক সফর: বহু দশক পরে ফিরছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীরা
- ঘানা: ৩ দশক পর কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পা রাখবেন।
- ত্রিনিদাদ ও টোবাগো: ২৭ বছর পর সরকারি সফর।
- আর্জেন্টিনা: দ্বিপাক্ষিক সফর হচ্ছে ৫৭ বছর পর।
- নামিবিয়া: ২৭ বছর পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী সফরে। সেখানে মোদীর সম্মানে ডাকা হয়েছে বিশেষ সংসদ অধিবেশন।
মূল ফোকাস: ব্রাজিলের ব্রিকস সম্মেলন
এই সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্রাজিল সফর, যেখানে ৬ ও ৭ জুলাই বসছে ব্রিকস (BRICS) ভুক্ত দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন না চিন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট—শি জিংপিন ও ভ্লাদিমির পুতিন। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সামনে এক বিরল কূটনৈতিক সুযোগ তৈরি হয়েছে।
পহেলগামে জঙ্গি হানা এবং পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদত– এই দুই ইস্যু ব্রিকস ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। চিন ও পাকিস্তানের বিরোধিতার কারণে সম্প্রতি এসসিও সম্মেলনে সেই সুযোগ আসেনি। এবার মোদী চান, ব্রিকসকে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলতে।
কূটনৈতিক বার্তা ও চ্যালেঞ্জ:
বিশেষজ্ঞদের মতে, মোদীর এই সফর আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের অবস্থান পুনর্নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে। পাকিস্তানকে নিয়ে ব্রিকস ঘোষণাপত্রে মন্তব্য করানো বড় সাফল্য হবে ভারতের জন্য, বিশেষত সেই সময়ে যখন এসসিও সম্মেলনে ভারত স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেছিল।