The Indian Chronicles | ৪ জুলাই, ২০২৫
নতুন রাজনৈতিক ঘরবদলের ইঙ্গিত? না কি শুধুই জল্পনা? নিউটাউনের ইকোপার্কে এক সকালে ফের চাঞ্চল্য ছড়াল দিলীপ ঘোষকে ঘিরে। প্রাতঃভ্রমণের ফাঁকেই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এমন কিছু মন্তব্য করলেন, যা ঘরবদলের জল্পনাকে উসকে দিল আরও এক ধাপ।
দিলীপ ঘোষ বলেন,
“আমার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পার্টি ঠিক করবে। ডাকলে যাব, না ডাকলে যাব না। ভগবানের খাতায় নাম লেখা আছে।”
এই এক লাইনের মধ্যেই যেন লুকিয়ে রয়েছে অসংখ্য সম্ভাবনার ইঙ্গিত। প্রশ্ন উঠেছে—তবে কি ২১ জুলাইয়ের আগে রাজ্য রাজনীতিতে আসতে চলেছে কোনও ‘বড় চমক’?
রহস্যময় হাসি, পুরনো সম্পর্ক, আর একগুচ্ছ ইঙ্গিত

তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে দিলীপ ঘোষের রহস্যময় হাসি আরও বাড়িয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। তাঁর কথায়,
“কল্পনা করতে তো পয়সা লাগে না। দিলীপ ঘোষ মার্কেটে আছে, এটুকু ঠিক।”
সঙ্গে যোগ করেছেন, কুণাল ঘোষ, অরূপ বিশ্বাসদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের এবং এখনও তা অটুট।
“আমি কাল শত্রু, আজ বন্ধু—এভাবে ভাবি না। কারও সঙ্গে তিক্ততা নেই,”
বলেছেন দিলীপ।
জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন
সম্প্রতি দিঘায় রাজ্য সরকারের জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। আর রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতির সংবর্ধনায় অনুপস্থিত থাকা—দুটি ঘটনাই জল্পনার আগুনে ঘি ঢেলেছে।

তাঁর বক্তব্য,
“আমি গিয়েছি একজন সম্মানীয় নাগরিক হিসেবে। আমার ট্যাক্সের টাকাও ওই মন্দির তৈরিতে খরচ হয়েছে। এটা তো কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়।”
রাজনীতিতে ‘চমক’ের প্রতীক্ষা

এই মুহূর্তে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে কিছু না বললেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কিছু একটা ঘটতে চলেছে। বিশেষ করে ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের আগে তাঁর এই মন্তব্যগুলি তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজ্য রাজনীতির পট পরিবর্তনে দিলীপ ঘোষ কি হতে চলেছেন ‘চমকের মুখ’? নাকি এই সবই কৌশলগত বার্তা? আপাতত উত্তর সময়ই দেবে। তবে এটুকু নিশ্চিত, দিলীপ ঘোষকে ঘিরে আলোচনার পারদ একেবারে ঊর্ধ্বগামী।