আগামী ৯ জুলাই, ২২ জুলাই, ও ৫ অগস্ট – এই তিনটি তারিখে পৃথিবী নিজের অক্ষরেখার চারপাশে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি গতিতে আবর্তিত হবে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই গতি বৃদ্ধির ফলে দিনের দৈর্ঘ্য কয়েক মিলিসেকেন্ড কমে যেতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদিও এই পরিবর্তন খুব সূক্ষ্ম এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে তাৎক্ষণিক কোনও প্রভাব ফেলবে না, তবে ভবিষ্যতে সময়ের হিসাব রাখার ক্ষেত্রে এটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। যেমন, ২০২৯ সালে একটি ‘লিপ সেকেন্ড’ বাদ দেওয়া হতে পারে, সময়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে।
কেন বাড়ছে পৃথিবীর গতি?

এখনও নিশ্চিতভাবে কোনও একটি কারণ চিহ্নিত করা যায়নি। তবে বিজ্ঞানীরা কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ চিহ্নিত করেছেন:
- পৃথিবীর কোর বা অভ্যন্তরীণ কেন্দ্রে পরিবর্তন
- হিমবাহ গলা ও ভর পুনর্বণ্টনের প্রভাব
- চাঁদের দূরত্ব: ওই তিনটি দিনে চাঁদ পৃথিবীর বিষুবরেখা থেকে সবচেয়ে দূরে থাকবে
এছাড়া মহাকর্ষ, সমুদ্রের জোয়ার-ভাটা, এমনকি মানুষের নির্মিত বড় বড় বাঁধ ও জলাধারও পৃথিবীর আহ্নিক গতি প্রভাবিত করতে পারে।
দিনের দৈর্ঘ্য কতটা কমবে?
যদিও পরিবর্তন খুবই সামান্য, তবে নথিভুক্ত হিসাব অনুযায়ী:
- ৫ অগস্ট: দিনের দৈর্ঘ্য কমে যেতে পারে ১.৫১ মিলিসেকেন্ড।
এটা বোঝাতে গেলে বলা যেতে পারে, আমাদের ঘড়ির কাঁটা একেবারে অদৃশ্যরকমের সামান্য সময় আগেভাগে এগিয়ে যেতে পারে।
সময়ের হিসাব ও লিপ সেকেন্ড:

যেমন লিপ ইয়ার গণনায় ৪ বছরে একদিন যোগ করা হয়, তেমনই ঘূর্ণনের এই সামান্য কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ফলে ‘লিপ সেকেন্ড’ বিয়োগ করার প্রয়োজন হতে পারে।
সাম্প্রতিক হিসাব বলছে, ২০২৯ সালের দিকে সময়ের ভারসাম্য রক্ষার্থে এক সেকেন্ড কমিয়ে দেওয়া হতে পারে – যা নজিরবিহীন।
এই পরিবর্তনগুলি মানবজীবনে এখনও বড় কোনও প্রভাব না ফেললেও, ভবিষ্যতের জন্য তা বৈজ্ঞানিক গবেষণা, উপগ্রহ প্রযুক্তি, ও জিও-টাইম সিস্টেম নির্ভর নানা ক্ষেত্রে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সময়ের প্রতি বোঝাপড়া এবং তার সঙ্গে তাল মেলানোর প্রযুক্তি আরও নিখুঁত করতে হবে।