সইফ আলি খানের পরিবারে আইনি বিপর্যয়!
বলিউড তারকা তথা পতৌদি নবাববংশের সদস্য সইফ আলি খান এবং তাঁর মা শর্মিলা ঠাকুর ও দুই বোন সোহা ও সাবা আলি খানের উত্তরাধিকারের দাবিতে বড় ধাক্কা দিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। ভোপাল ও রায়সেন জেলার বিস্তীর্ণ জমিকে ‘শত্রুসম্পত্তি’ ঘোষণা করে সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়া তাঁদের মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এই সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকা।

আদালতের পর্যবেক্ষণ:
২০০০ সালে ভোপালের জেলা আদালত সইফদের পক্ষে রায় দিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট জানায়, সেই রায় “আংশিক বিচারভিত্তিক” ছিল এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপেক্ষা করা হয়েছিল। তাই মামলাটি নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
কী এই ‘শত্রুসম্পত্তি’?
Enemy Property Act, 1968 অনুসারে, দেশভাগের সময় পাকিস্তান বা চিনে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের ভারতে রেখে যাওয়া সম্পত্তি সরকার অধিগ্রহণ করতে পারে। এই আইন মেনেই নবাব হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তিকে ‘শত্রুসম্পত্তি’ বলে দাবি করেছে ভারত সরকার।

কার সম্পত্তি নিয়ে বিতর্ক?
সইফদের পৈতৃক সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে:
- Flag Staff House
- Noor-us-Sabah Palace
- Firdous Farms (830 একর)
- Chiklod Retreat (3087 একর)
- Rizwan Farms (36 একর)
- আরও ১৩৭০ একর জমি
পরিবার ও উত্তরাধিকার বিতর্ক:
নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিন কন্যার মধ্যে আবিদা সুলতান পাকিস্তানে চলে গেলে, মেজ মেয়ে সাজিদা সুলতান উত্তরাধিকারী হন। সাজিদা হলেন সইফের ঠাকুমা। সাজিদার মৃত্যুর পর মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী সম্পত্তি ভাগ হয়। কিন্তু সরকারের যুক্তি, যেহেতু আবিদা ছিলেন প্রথম উত্তরাধিকারী, তাই ওই সম্পত্তি শত্রুসম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
- মামলার নতুন শুনানি জেলা আদালতে
- আইনি প্রক্রিয়া চলবে আগামী এক বছর
- রায় হতে পারে শত্রুসম্পত্তি আইন নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত
এই মামলার প্রভাব:
আইনবিদদের মতে, সইফদের মামলার রায় শুধু পতৌদি পরিবারের নয়, সারা দেশে চলমান শত শত শত্রুসম্পত্তি বিতর্কে প্রভাব ফেলবে। অনেক রাজবংশ এবং মুসলিম পরিবার, যাঁদের সদস্যরা দেশভাগের সময় পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরাও এমন সমস্যায় পড়তে পারেন।