দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে আর

Days
Hours
Minutes
Seconds

দুর্গাপুজো ২০২৫ শুরু হতে আর

Days
Hours
Minutes
Seconds
Advertise your brand here -Contact 7603043747 (Call & Whatsapp)
Advertise your brand here -Contact 7603043747 (Call & Whatsapp)

“পুজোর হুল্লোড়ে ঢাকিদের হারিয়ে যাওয়া গল্প: কে রাখে তাঁদের খোঁজ?”

কর্পোরেট পুজোর জাঁকজমকের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে ঢাকিদের কষ্টের কাহিনি। পাঁচদিনের উৎসব তাঁদের কাছে আনন্দের নয়, বরং জীবনধারণের এক কষ্টকর সংগ্রাম। এবার সময় তাঁদের কথাও বলার।

Table of Contents

Share Our Blog :

Facebook
WhatsApp
"পুজোর হুল্লোড়ে ঢাকিদের হারিয়ে যাওয়া গল্প: কে রাখে তাঁদের খোঁজ?"

দুর্গাপূজো মানেই চোখ ধাঁধানো আলো, রাজকীয় থিম, সেলিব্রিটি উদ্বোধন, সরকারী অনুদান ও কর্পোরেট বিজ্ঞাপনের ঝলকানি। কিন্তু এই জাঁকজমকের মাঝেও কোথাও যেন চাপা পড়ে যাচ্ছে সেই ঢাকিদের কণ্ঠস্বর, যাঁদের ঢাকের তালে প্রাণ পায় আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব।

"পুজোর হুল্লোড়ে ঢাকিদের হারিয়ে যাওয়া গল্প: কে রাখে তাঁদের খোঁজ?"

ঢাকের আওয়াজে যাঁরা প্রাণ দেন, তাঁদের গল্প কি শোনা হয়?

পূজোর পাঁচদিন কোলকাতার প্রতিটি মণ্ডপে ঢাক বাজে। ঢাকিরা দাঁড়িয়ে থাকেন প্রতিমার পাশে, তাদের কাঁধে বিশাল ঢাক, গলায় গামছা, চোখে অপেক্ষা—অপেক্ষা আরও ভালো দিন আসার।

অথচ বেশিরভাগ মণ্ডপে একজন মধ্যবয়স্ক ঢাকি আর তার সঙ্গে একজন শিশু—কাঁসরের তালে তাল মিলিয়ে চলা। এই শিশুটির স্কুল নেই, নতুন জামা নেই, নেই কোনও নিরাপত্তা। সে এসেছে বাবা বা কাকুর সঙ্গে, হয়তো সামান্য কিছু টাকার জন্য। পূজোর আনন্দ তার কাছে খালি পেট, আর ঘুমহীন রাতের আরেক নাম।

"পুজোর হুল্লোড়ে ঢাকিদের হারিয়ে যাওয়া গল্প: কে রাখে তাঁদের খোঁজ?"

কর্পোরেট পুজোতে কোটির হিসাব, ঢাকির হাতে কেবল কড়ির জোগান!

আজকের দিনে দুর্গাপূজো বড়ো কর্পোরেট খেলা। বড়ো বড়ো কোম্পানি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছে প্যান্ডেল, লাইটিং, থিম আর বিজ্ঞাপনে। সরকারও অনুদান দিচ্ছে লক্ষাধিক টাকার। থিম আর্টিস্ট, ডিজাইনার, বাজেট ম্যানেজার, ইভেন্ট কোম্পানির কর্মীরা পুজোর মরশুমে লাখ টাকা আয় করছেন।

কিন্তু এই ছবির বাইরের মানুষটা—ঢাকি, আজও সেই পুরনো গ্রাম থেকে শহরে এসে ঠাঁই পায় কোন গলির কোণে। পাঁচদিনের জন্য মেলে হাজার খানেক টাকা, থাকা-খাওয়া কোনওরকমে। বৃষ্টি হলে মণ্ডপ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেক সময় নির্ধারিত পারিশ্রমিকও সময়মতো মেলে না।

"পুজোর হুল্লোড়ে ঢাকিদের হারিয়ে যাওয়া গল্প: কে রাখে তাঁদের খোঁজ?"

“পূজো মানেই কাজ”—কিন্তু কাজ কি আনন্দ দেয়?

মুর্শিদাবাদ, মালদহ, নদীয়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলার বহু ঢাকি এখন পুজোর সময় শহরমুখো হন। অনেকেই পুজোর এক মাস আগে থেকেই কলকাতায় চলে আসেন, রিহার্সাল, মহড়া ইত্যাদির জন্য।

তাঁদের অধিকাংশেরই কোনও চুক্তিভিত্তিক সম্মানী নেই। নেই চিকিৎসা, বীমা বা নিরাপত্তার কোনও বন্দোবস্ত। পূজোর আনন্দে যখন শহর মাতোয়ারা, তখন ঢাকিরা রাত জেগে বাজাচ্ছেন—তাও পেট চালানোর দায়ে।

"পুজোর হুল্লোড়ে ঢাকিদের হারিয়ে যাওয়া গল্প: কে রাখে তাঁদের খোঁজ?"

পুজোর শিশুশিল্পী—তাল না মিললে কষে থাপ্পড়!

ঢাকিদের সঙ্গে অনেক সময় আসে তাদের ছোট ছেলেরা বা ভাগ্নেরা। তাদের কাজ হলো কাঁসর বাজানো, বড়দের সাহায্য করা। এরা স্কুল ফেলে আসে, পুজোর কয়েকটা দিন যেন তাদের কাছে পরিশ্রমের এক কঠিন প্রহর। এই বয়সে যখন নতুন জামা, ঠাকুর দেখা, ফুচকা খাওয়ার আনন্দ, তখন তারা দাঁড়িয়ে কাঁসর হাতে অপেক্ষা করে কবে বাজানো শেষ হবে।

"পুজোর হুল্লোড়ে ঢাকিদের হারিয়ে যাওয়া গল্প: কে রাখে তাঁদের খোঁজ?"

কুমারটুলি যেমন আলোকিত, ঢাকির পল্লি তেমন অন্ধকার!

প্রতিমাশিল্পীদের জীবনেও আজ পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। বড়ো বড়ো অর্ডার আসে, মিডিয়ায় কভারেজ হয়, উৎসব-পূর্ব মেলায় বিক্রি হয় প্রতিমার ছবি, নানা আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর ডাক পড়ে।

কিন্তু ঢাকিদের নিয়ে কোনও আলোচনাই নেই। না কোনও আর্ট ফেস্টিভ্যালে, না কোনও সরকারি প্রকল্পে। “ঢাকি সম্মান” নামে কেউ কোনও পুরস্কার চালু করেনি। অথচ ঢাক না বাজলে দুর্গাপুজোর শুরু হয় না!

"পুজোর হুল্লোড়ে ঢাকিদের হারিয়ে যাওয়া গল্প: কে রাখে তাঁদের খোঁজ?"

কবে আসবে তাদের জন্য পুজোর প্রকৃত আনন্দ?

আজ সময় এসেছে প্রশ্ন তোলার—কেন দুর্গাপুজোর অন্যতম অংশ হয়েও ঢাকিরা বঞ্চিত? কেন তাঁদের শিশুরা আজও শ্রমিক? কেন পুজো উদ্যোক্তারা তাঁদের সম্মানী নিশ্চিত করেন না?

ঢাকি শুধু একজনে নয়, সে এক ঐতিহ্যের ধারক। তার ঢাকের তালে জেগে ওঠে বাংলা, বাঙালিয়ানার অন্তর্নিহিত আত্মা।

আজ যতো না দরকার ডিজাইনার লাইট, তার চেয়েও বেশি দরকার এই শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানো। দরকার শিশু ঢাকিদের জন্য বিদ্যালয় সংযুক্ত অনুদান, বয়স্ক ঢাকিদের জন্য পেনশন ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা, এবং ন্যূনতম সম্মানীর আইনি কাঠামো।

দুর্গাপুজো সার্বজনীন হয়েছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছেছে। এখন সময় এসেছে ঢাকিদের মুখেও একটুখানি হাসি ফোটানোর।

More Related Articles

আজকের রাশিফল | ১৭ই জুলাই ২০২৫
সম্পাদকীয়
আজকের রাশিফল | ২১শে জুলাই ২০২৫ , দিনটি কেমন কাটবে! প্রেম, স্বাস্থ্য, অর্থ ও কর্মজীবনের বিস্তারিত রাশিফল।

২১শে জুলাই ২০২৫ – আজকের রাশিফল দেখে নিন আপনার প্রেম, স্বাস্থ্য, কাজ ও অর্থ ভাগ্যে কী লেখা আছে। প্রতিদিনের আপডেট পেতে পড়ুন The Indian Chronicles।

Read More »
"পুজোর হুল্লোড়ে ঢাকিদের হারিয়ে যাওয়া গল্প: কে রাখে তাঁদের খোঁজ?"
সম্পাদকীয়
“পুজোর হুল্লোড়ে ঢাকিদের হারিয়ে যাওয়া গল্প: কে রাখে তাঁদের খোঁজ?”

কর্পোরেট পুজোর জাঁকজমকের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছে ঢাকিদের কষ্টের কাহিনি। পাঁচদিনের উৎসব তাঁদের কাছে আনন্দের নয়, বরং জীবনধারণের এক কষ্টকর সংগ্রাম। এবার সময় তাঁদের কথাও বলার।

Read More »
"নেতাজি থেকে সত্যজিৎ: দুর্গাপুজোয় স্মৃতিময় খ্যাতি ও ঘরের গল্প"
সম্পাদকীয়
“নেতাজি থেকে সত্যজিৎ: দুর্গাপুজোয় স্মৃতিময় খ্যাতি ও ঘরের গল্প”

দুর্গাপুজোয় বাংলার খ্যাতিমান ব্যক্তিদের স্মৃতি, আবেগ ও ঐতিহ্যের গল্প – এলগিন রোডের নেতাজি, শিলাইদহের রবীন্দ্রনাথ, শোভাবাজার রাজবাড়ি, সত্যজিৎ রায় ও মহানায়ক উত্তম কুমারের ঘরের পুজো নিয়ে বিশদ রচনা।

Read More »
"নিশিরাত বাকা চাঁদ আকাশে"...... আজ গায়িকা গীতা দত্তের প্রয়াণ দিবসে এক শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন
সম্পাদকীয়
“নিশিরাত বাকা চাঁদ আকাশে”…… আজ গায়িকা গীতা দত্তের প্রয়াণ দিবসে এক শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন

“গীতা দত্তের কণ্ঠে বেজে ওঠে আবেগের নির্যাস—আজ তাঁর প্রয়াণ দিবসে ফিরে দেখা যাক সেই কালজয়ী সঙ্গীত জীবনের কিছু অধ্যায়।”

Read More »
লাবুবু না পাজুজু? Pop Mart-এর ভাইরাল পুতুল ঘিরে আতঙ্ক, গুজব ও আসল সত্য
সম্পাদকীয়
লাবুবু না পাজুজু? Pop Mart-এর ভাইরাল পুতুল ঘিরে আতঙ্ক, গুজব ও আসল সত্য

Labubu পুতুল কি আদৌ ভয়ঙ্কর? Pazuzu ডেমন সংক্রান্ত গুজব কতটা সত্যি? সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল আতঙ্কের পেছনের আসল ইতিহাস জানুন এই প্রতিবেদনে।

Read More »
error: Content is protected !!