এনার প্রকৃত নাম কি তা নিয়ে সন্দেহ আছে? সামাজিক মাধ্যমে ইনি পরিচিত প্রিয়াঙ্কা আর সাবিত্রী নামে। না না….. সার্চ করতেও হয়না। এনাদের ভিডিও এমনিতেই আপনার ফিডে চলে আসে। ইনিই হলেন স্বঘোশিত সেই বিখ্যাত সতী সাবিত্রী “রাশিয়ান বৌদি”।
পুরানে সতী সাবিত্রীর পরেই ইনিই আধুনিক যুগের সতী সাবিত্রী। মাথায় সিঁদুর পড়তে গিয়েও অন্য পুরুষ দের কি ভাবে শরীর প্রদর্শন করে আকর্ষণ করতে হয় তা এনার ভিডিও দেখলেই বোঝা যায়। একবার ভাবুন, নিষিদ্ধ পল্লীর যৌন কর্মীরাও নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে মুখ ঢাকেন ইনি তারও উর্ধে।

সকাল থেকে রাত অবধি ইনি নিজেকে অর্ধ নগ্ন করে সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও করেন যাকে সামাজিক মাধ্যমের ভাষায় বলে রিলস। বাঙালি উচ্চ বংশের এই তথাকথিত “রাশিয়ান বৌদি” কে এই সব ভিডিও করতে সাহায্য করেন তার সহকারী ও গর্বিত স্বামী দেবজিৎ, যেখানে প্রতিটি ভিডিও তে থাকে যৌনতা এবং অসামাজিক যৌন আবেদন। কখনো স্নান ঘরে, কখনো সুইমিং পুলে, আবার কখনো নিজের ঘরেই প্রায় সর্বাঙ্গ উন্মুক্ত করে আপামোর পুরুষ জাতি কে প্রলোভীত করে অর্থ উপার্জনই হলো এই “রাশিয়ান বৌদি” সতী সাবিত্রীর প্রধান উদ্দেশ্য। আয় পয় নেহাত কম নয়।
অনেকেই এই সাবিত্রীর সতীত্তর ভিডিও দেখে বিরক্ত হলেও কোথায় অভিযোগ করবেন জানতেন না। আসলে আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি তে এই শরীরিক আবেদন অশ্লীল হলেও “meta” তো ভারতীয় নয়। তাই তাদের কাছে অর্থাৎ বৈদেশিক নীতি অনুযায়ী এসব আদৌ অশ্লীল নয়। তাই বাধা দেবার বা প্রতিবাদ করার কেউ নেই, হয়তো এমনটাই ভেবে নিয়েছিলেন এই সতী “সাবিত্রী”।

কিন্তু এবার এই সতী “সাবিত্রী” কেই কাঠ গোড়ায় দাঁড় করাতে নিয়ে যেতে চলেছেন আইনজীবী সংগীতা দাস জানা। আজ পঞ্চাসায়র থানায় আইনজীবী সংগীতা দাস জানা, এই দুস্টু কোকিল সাবিত্রী দেহুরির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মূলত অশ্লীল ভিডিও করার কারণে, এবং শেয়ার করেন সামাজিক মাধ্যমে।
আইনজীবী সংগীতা দাস জানা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে লেখেন……
Complain has been done sweetheart.
তোমার সঙ্গে তোমার স্বামী ও আর এক মহিলা যিনি আছেন তারাও তোমার সঙ্গেই পা মিলিয়ে মিলিয়ে
চলবেন এই অভিযোগের ভিত্তিতে। সমাজ মাধ্যম টা সর্ব সাধারণের জন্য। এটি কোনো পতিতালয় নয়। আর তোমার মত রাশিয়ান বৌদি রাশিয়াতেই মানায় গো। আমাদের দেশ ভারতবর্ষ এ বিষয়ে এখনো ব্যাক ডেটেড। আপনি ও আপারা যে ভাবে নিজেদের সোস্যাল মিডিয়া তে প্রেজেন্ট করছেন তা আমাদের সমাজ কে কলুষিত করেছে। ক্যামেরার সামনে নিজেকে উন্মুক্ত রেখে অপর প্রান্তের পুরুষ দের ডেকে ডেকে প্রলুব্ধ করাটাও একটা লিগাল অফেন্স। যেটাকে আপনার পরিভাষায় এন্টারটেইনমেন্ট।আপনি সমস্ত পুরুষ কে প্রলুব্ধ করেছেন অসামাজি কাজ করার জন্য। যা কিনা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এবং কোনো একটি প্রাঙ্ক কল এ কোনো বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর খবর শুনে আপনি বলেছেন সেই ব্যক্তি আপনার বক্ষদ্বয় দেখে মারা গেছেন। এবং সেই বিষয়টি আপনার স্বামীও সাপোর্ট করেছিলেন।তার মানে আপনারা এটা বুঝেই করে চলেছেন যে কেও নিজেদের কন্ট্রোল হারিয়ে মারাও যেতে পারে। তার পরেও আপনি আপনার ঐ অ্যাডভারটিসমেন্ট দেওয়ার ভঙ্গিতেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মাথায় সিঁদুর পরতে পরতে ঐ একই রকম প্রলোভন দেখানো কথা বলতে বলতে রিলস বানিয়ে সোস্যাল মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। সিঁদুর আমাদের আপামোর হিন্দুদের ধর্মীয় ইমোশন। যেটা কোনো অবস্থাতেই খেলার সামগ্রী নয়। আপনি সেই সিঁদুর কেও কালিমালিপ্ত করেছেন।
তাই আপনার ও আপনাদের ঐ সকল অসামাজিক কাজের জন্য আমি সমস্ত সোস্যাল মিডিয়ার বন্ধুদের
অনুরোধে অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি। এই অভিযোগে যেন আপনাদের যথপযুক্ত শাস্তির ব্যাবস্থা করা হয় এবং সেই সকল “আই ডি” যা সমাজ কে কলুষিত করে চলেছে সেগুলো সব কটি যেন ব্যান্ড করে দেওয়া হয়। এখন বন্ধু রা আপনাদের যদি মনে হয় আমি ঠিক কাজ করেছি তাহলে এই ইনফরমেশন টা প্রতিটা ঘরের কোনায় কোনায় পৌঁছে দিন। কারন আমার এই যুদ্ধে আপনারাই আমার সহযোদ্ধা। কারন সোস্যাল মিডিয়ার সমস্যা সমাধান করার অধিকার সবার আগে সোস্যাল বন্ধুদের।
অনেকেই তাঁকে, তাঁর এই পদক্ষেপ এর জন্যে বাহবা জানিয়ে প্রশংসা করছেন।
এবার দেখা যাক, ভারতীয় আইন ও সমাজ ব্যবস্থা এই দুস্টুকোকিল সাবিত্রী কে কি শিক্ষা দেন।