Home » বাংলার লোকগীতি-র সংস্কৃতির ধারা সগৌরবে এগিয়ে নিয়ে চলেছে – মহুল।

বাংলার লোকগীতি-র সংস্কৃতির ধারা সগৌরবে এগিয়ে নিয়ে চলেছে – মহুল।

বর্তমান তথ‍্য প্রযুক্তির 5G ইন্টারনেটের যুগে, আমরা অজান্তেই হারাচ্ছি আমাদের নিজস্ব পরিচিতি, রুচিবোধ ও সংস্কৃতি। আধুনিক পাশ্চাত্য সভ‍্যতার অনুগামী হতে গিয়ে আমরা নিজেরাই ইতিহাসের পাতায় ফসিলস হয়ে যাচ্ছি।

এক সময় আমাদের এই সোনার বাংলা কেই সমগ্র দেশের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে মনে করা হত। শুধুমাত্র কৃষি তেই নয়। ব‍্যাবসা বানিজ‍্য, কুটির বা ক্ষুদ্র শিল্প, লোক নৃত‍্য, লোক সঙ্গীত, স্থানীয় খাবার এ সবই ছিল এক সময় এই বাংলার পরিচয় যা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে। পরিবর্তে উঠে আসছে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি। পাশ্চাত্য শিল্পীরা আমাদের বাংলার লোকগীতি কে নিয়েই তৈরী করছেন আধুনিক রিমিক্স গান। সেই গানে বঞ্চিত করছেন প্রকৃত শিল্পী কে তার সম্মাননায়। অনেকেই জানেন না পাশ্চাত্যে যে র‍্যাপ সঙ্গীতের প্রচলন হয়েছে তার সুত্রও বাঁধা আছে আমাদের এই বাংলারই কবি গানে।

তবে এখনো সেই অতীত বাংলার ধারক ও বাহক হয়ে আমাদের সেই হারানো লোকগীতির সংস্কৃতি কে নতুন প্রজন্মের হাত ধরে তাদের কাছেই তুলে ধরে রাখছে এই বাংলার অন‍্যতম লোক সংগীত ব‍্যান্ড মহুল।

গত জানুয়ারিতে কলকাতার সল্টলেকের ezcc তে ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল অ‍্যসোসিয়েসন  ও মহুলের যৌথ উদ্যোগ পালিত হল বাংলার অতি প্রাচিন পৌষ পার্বণ বা পৌষ পরব। দুপুর দুটো থেকে রাত আট টা অবধি চলেছিল এই অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠান টি করার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলার এই অতি প্রাচিন লোক সংস্কৃতির পার্বন কে নতুন করে সকলের সামনে তুলে ধরা। অনুষ্ঠানে ছিল লোক সঙ্গীত, লোক নৃত‍্য ও লোক কবিতা। সব থেকে অবাক করা বিষয় হল এই অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০ জন শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে ছিল পিঠে পুলি ও হাতে তৈরী নানান সামগ্রীর স্টল। অবশ‍্যই এখানে বিশেষ আকর্ষণীয় বিষয় ছিল মহুল ব‍্যান্ডের গান। যেখানে মহুল দুটি নতুন ঝুমুরাঙ্গের গানের আত্মপ্রকাশ করে। সেই গানে অংশগ্রহন করেন ৫০-৬০ জন শিল্পী সহ সমগ্র দর্শকমন্ডলী। যার একটি ভিডিও শুটিংয়ের মাধ‍্যমে নতুন ধারার ভিডিও এলব‍্যাম হয়। এই বিষয়ে মহুলের মূল গায়ক ও কর্নধার পার্থ ভৌমিক আমাদের জানান এই গান দুটি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্ল‍্যাটফর্মে প্রকাশিত ও ভাইরাল হয়েছে। গান দুটির মধ‍্যে “তিড়িং ড়িংহা” টি লিখেছেন অভিজিৎ ভুঁইয়া ও “তোকে ভালোবেসে” গানটি লিখেছেন সঞ্চালী রায়। এই দুটি গানেই সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সোহম ভৌমিক আর কন্ঠ দিয়েছেন স্বয়ং পার্থ ভৌমিক ও সাথে সোনাই, সঞ্চালী, সোহম ও সায়ন্তীকা।

পার্থ ভৌমিক
সোহম ভৌমিক

আপনাদের জন‍্য রইলো সেই গানের লিঙ্ক। আপনারা শুনে অবশ‍্যই আপনাদের মতামত জানাবেন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!