পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতি এই মুহুর্তে চরমে। কয়লা পাচার, গরু পাচার ও নিয়োগ দূর্নীতি সহ নানান অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দল তথা কেন্দ্রীয় সরকার সোচ্চার হয়েছেন। শাষকদলের বিভিন্ন নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে আমলাদের পিছনে তদন্তের ভার দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি ও সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ্ ইন্ভেস্টিগেশন বা সিবাআই কে। অবশ্যই এদের সাথে রয়েছে আয়কর দফতরও।
গত বছর ২৩ শে জুলাইয়ে প্রথম গ্রেফতার হন শাষকদলের প্রবীন নেতা ও রাজ্যের শিক্ষমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে পাওয়া যায় আয় বহির্ভূত প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা নগদ ও সাথে ততধিক মূল্যের সোনার অলঙ্কার। এরপর থেকেই এক এক করে শিক্ষা দফতরের বেশ কিছু আমলা সহ গ্রেফতার হন নদিয়ার তৃনমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য্য। এদের সাথে সাথেই নিয়োগ দূর্নীতি কান্ডে এক এক করে গ্রেফতার হন হুগলীর যুব তৃনমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও বলাগড়ের তৃনমূল নেতা শান্তনু ব্যানার্জী। অন্যদিকে গরু পাচার ও কয়লা পাচারের অভিযোগে ইডি গ্রেফতার করে বীরভমের তৃনমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল কে। গরুপাচারে জড়িত সন্দেহে অনেক আগেই অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সেহগাল হোসেন কে আগেই গ্রেফতার করেছিল ইডি। অনুব্রত আর সেহগাল দুজনেই এখন দিল্লিতে ইডির হেফাজতে।
প্রতিদিন প্রতিমুহুর্তে শাষকের দলের নানান নেতৃবৃন্দ কে নিশানা করছে রাজ্যের বিরোধী দল। এরই মধ্যে কলকাতায় পা দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের আর এক বিরোধী দলনেতা অখিলেশ যাদব। কলকাত বিমান বন্দরে পা রেখেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে। অখিলেশ বলেন – ইডি, সিবিআই, আয়কর দের রাজনৈতিক ভাবে ব্যাবহার করছে বিজেপি। এখানে তো কম নেতাদের জেলে পাঠিয়েছে, উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির বহু বিধায়ক নেতা ও কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগ ও মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠিয়েছে। ভারতীয় জনতা দল বা বিজেপি যে দলকে ভয় পায় তার পিছনেই ইডি সিবিআই কে তদন্তে লাগিয়ে দেয়।
এরপরেই সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব দেখা করেন মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রী ও তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে। তৃনমূল কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি একত্রে আবার নতুন করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার জন্য যৌথ উদ্যোগ নিতে চলেছে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা।