সরকারি কর্মচারীদের ৫৮ টি সংগঠনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে লাগাতার অবস্থানের কর্মসূচি সংঘটিত করে চলেছে । ১০ই ফেব্রুয়ারি থেকে আমরণ অনশনের কর্মসূচি ও পাশাপাশি চলছে সরকারের কাছে বারংবার দাবি অধ্যাপন করা সত্ত্বেও সে সম্পর্কে কোন গুরুত্ব না দেওয়া। বিপরীত ক্রমে আন্দোলনের সম্পর্কে নানান বিভ্রান্তিকর মন্তব্য সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনের দাবীকে সামনে রেখে কর্ম বিরতি এবং পরবর্তী পর্যায়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। রাজ্যের প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর পাশাপাশি সরকারি দপ্তরে ধর্মঘটের ব্যাপক ছাড়া দেখে সরকার হতবাক।
সংগ্রামে যৌথ মঞ্চের তমলুক শাখার সুমিত কুমার রাউত বলেন অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে জানাই যে সম্প্রীতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে আমাদের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা দীঘা চক্রের খাদাল গোবরা জুনিয়র বেসিক স্কুল। নন্দকুমার ব্লকের বেতকলা মিলনী বিদ্যানিকেতন এবং জেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হুমকি প্রদর্শন সহ যেভাবে শিক্ষক হয়রানি ঘটেছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয় । গত ১০ই মার্চ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বানে। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা প্রদান শূন্য পদে নিয়োগ এবং যোগ্য নিয়মিতদের নিয়মৃতকরণের দাবিতে সারা রাজ্য জুড়ে ধর্মঘটের এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেছিল। গণতান্ত্রিক দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ধর্মঘট করার অধিকার কিন্তু শাসক দলের দুষ্কৃতীরা শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে না দিয়ে রোদে দাঁড় করিয়ে দীর্ঘ সময় যে হেনস্তা করেছে তার প্রতিবাদে এবং আগামী দিনে যাতে এই ধরনের না ঘটে তা প্রশাসনকে সুনিশ্চিত করা, জন্য সাথে সাথে বেশ কিছু দাবি যাতে সরকার দ্রুত মেনে নেয় তা সুপারিশ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
দাবিগুলি হল হাইকোর্টের রায় মেনে
এ আই সি পি আই অনুযায়ী সকল বকেয়ার মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সকল সরকারি শূন্য পদে স্বচ্ছ ভাবে স্থায়ী নিয়োগ করতে হবে। যোগ্য অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণ করতে হবে।
এই দাবি নিয়ে আজ নন্দকুমার বিডিওর কাছে ডেপূটেশন জানালো সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তমলুক মহকুমা শাখা।