Home » চির অমর চুনি গোস্বামী।

চির অমর চুনি গোস্বামী।

পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ আজ ৩০ শে এপ্রিল, বিখ্যাত বাঙালি ফুটবলার চুনি গোস্বামী ২০২০ সালে আজকের দিনেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছিলেন।

CHUNI GOSWAMI

২০২০ সাল পৃথিবীর কাছে অন্ধকার তম বছর। এই বছর পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তাবড় তাবড় রথীমহারথী। ফুটবল বাঙালির আবেগ। যতদিন বাঙালির বুকে ফুটবলের আবেগ থাকবে ততদিন চুনি-পিকে জুটি অমর হয়ে থাকবে। ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের লড়াই চিরন্তন। সেই মোহনবাগানের স্ট্রাইকার চুনি গোস্বামী অমর হয়ে আছে বাঙালির বুকে। ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটার হিসেবেও তিনি জনপ্রিয় ছিলেন।

চুনি গোস্বামীর আসল নাম সুবিমল গোস্বামী ১৯৩৮ সালের ১৫ই জানুয়ারি বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৬-১৯৫৪ সাল পর্যন্ত তিনি মোহনবাগানের জুনিয়র দলে খেলেছেন। ১৯৬০-১০৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি মোহনবাগানের অধিনায়কত্ব করেছেন। তার অসাধারন অধিনায়কত্বে এই কয়েকবছরে মোহনবাগান ‘ডুরাল্ড কাপ’ সহ অনেক কাপ জিতেছেন। ১৯৬২ সালে মোহনবাগান জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছে। যা চুনি গোস্বামীর অধিনায়ক জীবনের শ্রেষ্ঠ কৃতিত্ব। এশিয়া কাপে তিনি অধিনায়ক হিসেবে রৌপ্য পদক জয় করেছিলেন। ১৯৫৮ সালে এশিয়ান গেমসে হংকংয়ের বিরুদ্ধে কোয়াটার ফাইনালে পেনাল্টি শুটে গোল করেন।

ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং ডানহাতি বোলার ছিলেন। তিনি ৪৬ টি ম্যাচে মোট ১৫৯২ রান করেছেন। বোলার হিসেবেও তিনি পিছিয়ে ছিলেন না ৪৭ টি উইকেট আছে তার ঝুলিতে। রঞ্জি ট্রফিতে তিনি বাংলার হয়ে অধিনায়কত্ব করেছেন।

খেলোয়াড় হিসেবে অনেক পুরস্কারও জমা হয়েছে তার ঝুলিতে। ১৯৬৩ সালে ‘অর্জুন পুরষ্কার’ এবং ১৯৮৩ সালে তিনি ‘পদ্মশ্রী’ পুরষ্কার পান। এছাড়াও ২০০৫ সালে তিনি মোহনবাগান রত্ন হিসেবে আখ্যা পান। আজ তার মৃত্যুদিন। কিন্তু এইসব মানুষের মৃত্যু বলে কিছু কি হয়? এনারা সারা জীবন বেঁচে থাকেন মানুষের মনের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!