Home » রবি ঠাকুরের অন্য নাম

রবি ঠাকুরের অন্য নাম

পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ সালটা ১৯২৩ রবি ঠাকুর আমন্ত্রণ পেলেন চীন থেকে। বেজিং লেকচার অ্যাসোসিয়েশন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী স্কলারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লেকচার দেওয়ার জন্য। সেই অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে বিশ্ব ভারতীর পক্ষ থেকে লেকচার দিতে যেতে রাজী হলেন রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর। যাত্রার আয়জনে চলে গেল অনেক দিন। অবশেষে ২১ শে মার্চ ১৯২৪ সালে কবি রওনা দিলেন চিনের উদ্দেশ্যে।
এই যাত্রায় কবির সফরসঙ্গী ছিলেন ক্ষিতিমোহন শাস্ত্রী, নন্দলাল বসু, কে এল এলমহার্স্ট এবং কালিদাস নাগ। কালিদাস নাগের ডায়রি লেখার অভ্যেস ছিল। পরবর্তী কালে ১৯৪৫ সালে সেই ডায়রি ‘ঠাকুর ও চীন’(Tagore and China) নামে প্রকাশিত হলে চীন সফরের বিস্তারিত জানা যায়। এই সময় রবিঠাকুর বেজিং এর রাজ পরিবারের আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন।

rabindra nath tegore


১৯২৪ সালে কবির ৬৪ তম জন্মদিনে তিনি চিনেই ছিলেন। সেই বছর বেজিং এর রাজবাড়ীতে মহাসমারোহে পালিত হয় রবিঠাকুরের জন্মদিন। সেই দিন চিনের সব বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠানে বেজিং সম্রাট কবিকে চারশো বছরের পুরনো একটি পেইন্টিং উপহার দেন। কবিকে আপন করে নেওয়ার জন্য নিজের লোক ভাবার জন্য কবিকে তাদের ভাষায় একটি নাম উপহার দিলেন। কবি সানন্দে গ্রহণ করলেন সেই নাম। কবির নতুন নামকরণ হল ‘’চু-চেন-তান’’। যার বাংলা অর্থ ‘ভারতের বজ্রকন্ঠী উদীয়মান সূর্য’। নামটি কবির জন্য স্বার্থক নামকরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Click to Go Up
error: Content is protected !!