শোভন মল্লিক,কলকাতা: শ্রুতি দাস নামটা উচ্চারণে যতটা সহজ। তার জীবনটা মোটেই ততটা সহজ ছিল না । কাটোয়ার সেই সাধারণ মেয়েটা, টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিতে আসার জন্য করতে হয়েছে কঠিন লড়াই। নৃত্যশিল্পী হিসেবে তিনি যতটা অসাধারণ। একজন অভিনেত্রী হিসেবে তিনি ততটাই অসাধারণ। তাকে নানা সময় পড়তে হয়েছে বিভিন্ন ট্রলের মুখে। কিন্তু সেগুলোকে চোখে চোখ রেখে জবাব দিয়েই তিনি এগিয়ে গিয়েছেন তার লক্ষ্যের দিকে।
জি বাংলা তে ত্রিনয়নী দিয়ে তার যাত্রা শুরু হয় । মানুষের অফুরন্ত ভালবাসায় ভরে ওঠে সিরিয়ালটি। তারপরে দেশের মাটি এবং এখন রাঙা বউ। প্রতিটা ক্যারেক্টার যেন তার জন্যই লেখা। তার অভিনীত প্রতিটি চরিত্রই, যতটা কঠিন ততটাই চ্যালেঞ্জিং । এই মুহূর্তে তিনি যেই “পাখি” চরিত্রটিতে অভিনয় করছেন। সেই চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলার পেছনে তার অবদান সবথেকে বেশি । তিনি সেই গল্পের পাখিকে করে তুলেছেন জীবন্ত। মানুষও ভালবাসায় ভরিয়ে তুলেছেন পাখি চরিত্রটি । আর পাঁচটা ধারাবাহিকের নায়িকার থেকে। এই চরিত্রটই অনেকটা আলাদা এবং সাদামাটা । কিন্তু তার মধ্যেই রয়েছে অভিনবত্বের ছোয়া।
এই চরিত্রের জন্যই তিনি দর্শকের অফুরন্ত ভালোবাসা পাচ্ছেন। সেটা প্রমাণও হচ্ছে বারংবার । ফের আবার সেটাই প্রমাণ হলো । এবার তিনি একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক সংক্রান্ত গ্রুপের একটি ভার্চুয়াল অ্যাওয়ার্ড শোয়ের নমিনেশনে । “মোস্ট চ্যালেঞ্জিং ক্যারেক্টার” হিসেবে মনোনীত হয়েছেন।
সত্যিই পাখি চরিত্রটি চ্যালেঞ্জিং তো বটেই। আর সেই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলাও একটি অভিনেত্রীর জন্য আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং।
তিনি এই মনোনয়নের ফলাফল নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন । তিনি দর্শকের ভালোবাসা পেয়ে যে মন্ত্রমুগ্ধ সেটা নতুন করে বলবার জায়গা নেই । দর্শক তাকে ভালোবাসার আরেকটি বড় কারণ হলো তার সরলতা । দর্শক তাকে যতটা ভালোবাসে, তিনিও যে দর্শকের ততটাই ভালোবাসেন এটা প্রমাণ হয় বারংবার । সেটা প্রতিটা দর্শকই জানে । শ্রুতি রায় এইভাবেই হয়ে উঠেছে প্রতিটা দর্শকের ঘরের মেয়ে । এতটা সাধারণত্ব নিয়ে, মাটিতে পা রেখে চলা হয়তো শ্রুতি রায়-এর পক্ষেই সম্ভব।