পর্ণা চ্যাটার্জী, কলকাতাঃ কলকাতার আইসিসিআর-এ গতকাল দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জি২০(G20) সম্মেলনের অন্তর্গত জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগের সম্ভবনা হ্রাসের( Climate Change and Disaster Risk Reduction) ওপর একটি আলোচনাসভা। বিদেশ মন্ত্রক সাউথ এবং সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর যৌথ উদ্যোগে বিভিন্ন পরিবেশবিদ ও এই বিষয়ের অধ্যাপকরা এই আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল আবহাওয়ার পরিবর্তন, এবং তার প্রতিকার। আয়োজক সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক বিশ্বজিত রায় চৌধুরী জানান নতুন প্রজন্মের মধ্যে পরিবেশের প্রতি সচেতনতা বাড়ানোই এই আচলনাসভার মূল উদ্দেশ্য। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিল দ্য ইন্ডিয়ান ক্রনিক্লস টিম।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক তুহিন ঘোষ (School of Oceanographic studies, Jadavpur), জয়ন্ত বসু (Enviroment and climate correspondent and columnist), প্রনব দাস (chief manager, Haldia Water Services Pvt Ltd)), অপর্ণা বেরা (Climate Change Practitioner, SAIARD) প্রমুখ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। পরিবেশ পরিবর্তন নিয়ে সকলেই তাদের রিসার্চ এবং নিজস্ব বক্তব্য রেখেছেন এবং সবশেষে ছিল একটি ইন্টার্যাক্টিভ সেশন। কলকাতার বেশ কিছু কলেজ থেকে অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিল এদিনের আলোচনাসভায়। অনুষ্ঠানটি মুলত ছিল যুব সমাজের জন্য।
পরিবেশ নষ্ট হওয়া শুরু হয়েছে বহুদিন আগে থেকেই, কিন্তু এটাকে আটকাতে পারেনি কেউ তারই ফল আজকের জলবায়ুর পরিবর্তন, সমুদ্রস্তর বৃদ্ধি পাওয়া, হিমালয়ের বরফ গলতে শুরু করা। কিন্তু এখনও যদি এই সমস্যার কোন সমাধান না করা হয় বা সচেতন ভাবে সমস্যা আরও বাড়তে দেওয়া হয় তবে কিছুবছর পর এই সমস্যাগুলো কি মারাত্মক আকার ধারন করবে সেটা বুঝতে পারছে না মানুষ। তাদের এই সচেতনতার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়াই এই অনুষ্ঠানের কাজ। পরিবেশ বাঁচানোর প্রধান উপায় গাছ লাগানো। আর সচেতন হওয়া এবং অপরকে সচেতন করে দেওয়া। যুবসমাজের মধ্যে এই সচেতনতা ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগ কতটা ফলপ্রসূ হবে বা আদৌও হবে কিনা তা আজ বোঝা যাবে না, তা বুঝতে পারবে পরবর্তী প্রজন্ম।
যদিও এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান বহু জায়গায় বহুদিন ধরে বহু অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছে। কিন্তু মানুষ কি সচেতন হয়েছে? কোন আলোচনা সভা দিয়ে এই সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব কি যদি না নিজে সচেতন হই? কেউ নিজে থেকে না চাইলে কোন আলোচনাসভাই কার্যকর হয় না বোধহয়। মানুষ সচেতন নয়, টেকনোলজি এবং তার কারণে গাছ কাঁটা পরিবেশ নষ্ট করা এ তো হয়েই চলেছে। সকলেই জানেন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর, কিন্তু মানুষ এসি ছাড়া থাকতে পারে না। এদিন অনুষ্ঠানের সকলেই এটা জানেন তা সত্ত্বেও একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সভাগৃহে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এইভাবে কি কোন পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হওয়া সম্ভব? বোধহয় নয়।