ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কিংবদন্তি বিপ্লবী রাশবিহারী বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাপানে উপস্থিত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টোকিওর একটি পার্কে বসুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে তিনি জানালেন, “রাশবিহারী বসু শুধু বাংলার নয়, সমগ্র ভারতের গর্ব। তাঁর আন্তর্জাতিক বিপ্লবী কর্মকাণ্ড ইতিহাসে চিরস্মরণীয়।”


এই অনুষ্ঠানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধিরা ও স্থানীয় প্রবাসী ভারতীয়রাও। রাশবিহারী বসুর স্মৃতির প্রতি এই শ্রদ্ধার্ঘ্য শুধু অতীতকে স্মরণ নয়, বরং বর্তমান প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিস্মৃত ইতিহাসকে নতুন করে তুলে ধরার প্রয়াস।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেকের এই জাপান সফর শুধুমাত্র কূটনৈতিক সৌজন্যের সীমায় আবদ্ধ নয়; বরং এটি দলীয় ‘বঙ্গ গর্ব’ কর্মসূচির আন্তর্জাতিক রূপও বটে। এশিয়ার মাটিতে এক বাঙালি বিপ্লবীর অবদানের স্বীকৃতি তুলে ধরে বাংলা ও তৃণমূলের গর্ব প্রচার করাই এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশবিহারী বসু যেমন ভারত ও জাপানের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়েছিলেন, অভিষেকের এই উদ্যোগও তেমনই এক কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বার্তা পৌঁছে দিলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।

কী ছিল রাশবিহারী বসুর ভূমিকা:
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিশেষ করে আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রাথমিক সংগঠক হিসেবেই তাঁকে স্মরণ করা হয়। ব্রিটিশদের চোখে সবচেয়ে বিপজ্জনক বিপ্লবীদের অন্যতম ছিলেন তিনি, যাঁকে ধরা পড়ার পর ফাঁসির সাজা নিশ্চিত ছিল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর ও রাশবিহারী বসুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন নিছক আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং এটি রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চে এক নতুন বার্তা বহন করে— “বঙ্গ গর্ব, বিশ্ব গর্ব”।