আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া ভারতের ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬০ জন। Air India-এর একটি Boeing 787 Dreamliner টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনার মূল কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে DGCA ও অন্যান্য সংস্থাগুলি। আর এই তদন্তের কেন্দ্রে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত যন্ত্র — ব্ল্যাক বক্স।
🔎 ব্ল্যাক বক্স কী?

‘ব্ল্যাক বক্স’ নামটি বিভ্রান্তিকর হলেও এটি উজ্জ্বল কমলা রঙের একটি যন্ত্র। মূলত এটি দুটি অংশে বিভক্ত:
- Flight Data Recorder (FDR) – বিমান চলাকালীন নানা কারিগরি তথ্য রেকর্ড করে (যেমন গতি, উচ্চতা, ইঞ্জিন স্ট্যাটাস ইত্যাদি)।
- Cockpit Voice Recorder (CVR) – ককপিটে পাইলট ও কো-পাইলটের কথোপকথন, অ্যালার্ম ও অন্য শব্দ রেকর্ড করে।
📌 দুর্ঘটনার তদন্তে ব্ল্যাক বক্সের ভূমিকা

আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার মূল কারণ খুঁজে পেতে ব্ল্যাক বক্সের তথ্য বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে জানা যাবে:
- টেকঅফের সময় বিমানের স্পিড ও অ্যালটিচিউড ঠিক কী ছিল
- কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দিয়েছিল কি না
- ককপিটে শেষ মুহূর্তে কী ধরনের আলোচনা হচ্ছিল
- পাইলট কোনো MAYDAY কল দিয়েছিলেন কি না
CVR রেকর্ড থেকে পাওয়া শব্দ বিশ্লেষণ করে বোঝা যাবে, পাইলট ঠিক কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন।
🛠️ কিভাবে উদ্ধার ও বিশ্লেষণ করা হয় ব্ল্যাক বক্স?
- দুর্ঘটনার পরে উদ্ধারকারী দল ELT (Emergency Locator Transmitter) এর মাধ্যমে ব্ল্যাক বক্সের সিগন্যাল খোঁজে
- এটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা থাকে যাতে আগুন, পানির নিচে থাকা বা ধ্বংসস্তূপের মধ্যেও এটি টিকে থাকতে পারে
- উদ্ধার করে এটিকে বিশেষ ল্যাবরেটরিতে নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়, যেখানে FDR ও CVR থেকে ডেটা রিকভার করে তদন্তকারীরা
📈 ভবিষ্যতের নিরাপত্তায় কীভাবে সাহায্য করে?
- দুর্ঘটনার মূল কারণ শনাক্ত করে ভবিষ্যতে সেই ধরনের ভুল প্রতিরোধ করা যায়
- বিমান নির্মাতা সংস্থাগুলি ও এয়ারলাইনরা সিস্টেম আপগ্রেড করে
- পাইলটদের প্রশিক্ষণের মান উন্নত করা হয়
- আন্তর্জাতিক বিমানে নিরাপত্তার নয়া নীতিমালা গঠন হয়