অনিন্দ্য রায়, কলকাতা : ইদানিং কালে আমরা সকলেই অর্থাৎ ছোট থেকে বড় সবাই আমরা ব্যাস্ত থাকি আমাদের কেরিয়ারের পিছনে। কিভাবে নতুন কিছু শিখে নিজেকে আরো ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ আমাদের সকলেরই থাকে। আর ঠিক এই মুহুর্তে সব থেকে বড় তাগিদ হল আমাদের সন্তানদের সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। সকালের স্কুল থেকে রাতের প্রাইভেট টিউশন অবধি সন্তানদের সাথে ছুটতে হয় আমাদের কেও। কিন্তু থেকে যায় নানান সমস্যা। প্রথমেই যে সমস্যাটির সব থেকে বেশী সম্মুখীন হতে হয় তা হল অঙ্ক বা গনিত বিষয়ের প্রতি ভিতি। আর তার পরেই যে সমস্যা টি আসে তা হল সঠিক শিক্ষক বা শিক্ষিকার যারা ছাত্র ছাত্রীদের সাথে মিশে তাদের সাথে আনন্দ করে অঙ্ক কে সহজ একটা খেলায় পরিনত করতে পারেন। অবিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীদের কাছে পড়াশোনা কে কখনই যেন বোঝা না মনে হয় ঠিক সেই আয়োজন টাই করেছে ANA KNOWLEDGE ARENA PVT. LTD যারা অঙ্ক বা গনিতের প্রতি ছাত্র ছাত্রীদের আতঙ্ক কাটিয়ে করে তুলেছে অতি সহজ এবং প্রায় মজার একটি খেলায়, যে খেলায় এখন শুধুমাত্র বিভিন্ন বয়সের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে মেতে উঠছেন তাদের অবিভাবকরাও।
করোনা কালের পর পথ চলা শুরু করলেও ইতিমধ্যেই Anabacus পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাদের শাখা প্রশাখা বিস্তার করে ফেলেছে সাফল্যের সাথে। এদিন এই অনুষ্ঠানে Anabacus এর অনান্য জেলার শাখা গুলি যেমন মধ্যমগ্রাম ( 9831008195 ) মানিকতলা ও দমদম ক্যান্টনমেন্ট ( HO – 7980823729 ), শ্যামনগর ( 7003630731 ), মোহন পুর ( 8348876957 ), গোরাবাজার ( 9831910124 ), ভদ্রক ( 9583601272) ও হাবড়া ( 9083909926) জেলার প্রতিনিধি ও অবিভাবক সহ ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন এই আনন্দ আয়োজনে।
এবং প্রতিটি শাখাতেই ক্রমশ বেড়ে চলেছে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা। কারন এখানে ছাত্রছাত্রীদের শুধুমাত্র অঙ্কে পারদর্শী করে তোলা হয়না সাথে সাথে তাদের কে তাদের বিভিন্ন পছন্দের বিষয়ে এগিয়ে যেতেও সাহায্য করেন এখান কার শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। এর সাথে যেটা আরো একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল Anabacus নিজেরাই টিচার্স ট্রেনিং দিয়ে তৈরী করেনেন তাদের পরিকল্পনা মাফিক পারদর্শী শিক্ষক ও শিক্ষিকা দের। শুতরাং একাধারে বাঙালি প্রতিষ্ঠানের অগ্রনীয় ভূমিকার সাথে নতুন দের কর্মসংস্থানের চাহিদা পুরন করছে Anabacus. এখানে প্রাক্তনীরাও এখানে শিক্ষকতা করছেন অনেকেই।
অবিভাবকরাও খুশী তাদের সন্তানদের উন্নতি দেখে। সব মিলিয়ে Anabacus এখন এবং আগামী দিনে একটি বৃহত্তম পরিবারে রুপান্তরিত হতে চলেছে। গত ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৩, রবিবার Anabacus থেকে রাজ্যের প্রতিটি শাখা ও সকল ছাত্রছাত্রীদের পরিবার সহ একটি বার্ষিক পিকনিকের আয়োজন করে যা ছিল সম্পূর্ণ বিনামুল্যে। যদিও বেশ কিছু অবিভাবকরা আনন্দের সাথে এগিয়ে এসেছিলেন এই পিকনিক কে আনন্দঘন করে তুলতে। কলকাতা শহর থেকে একটু দুরে, গ্রাম্য প্রাকৃতিক পরিবেশের সেই আনন্দ আয়োজনে অমন্ত্রিত ছিলাম আমরাও অর্থাৎ দ্যা ইন্ডিয়ান ক্রনিকেলস। একঝাঁক ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারের সকলের সাথে নাচে গানে কবিতা আর খেলায় কেটে গেল বছর শেষের দিনটি। এদিন পুরস্কৃত ও সম্মানিত করা হয় প্রাক্তন ও কৃতি ছাত্রছাত্রী সহ শিক্ষক ও শিক্ষিকাদেরও।
এদিন বর্ষবিদায় ও বর্ষ বরনের সন্ধিক্ষনের এই আনন্দ অনুষ্ঠানে যে সব শিক্ষিকা দের পুরস্কৃত করা হয় তারা হলেন সুদিপ্তা সিংহ কর্মকার ও মধুমিতা কর ( প্রথম ), সঞ্চালিনা ঘোষ ( দ্বিতীয় ) ও শুচিস্মিতা পতি ( তৃতীয় ) এছাড়াও সেরা পারফরম্যান্স এর ভিত্তিতে সঞ্চালিনা ঘোষ ও প্রিয়াঙ্কা নন্দী ।
এছাড়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গ্রুপ – এ1 থেকে – সৃজা জানা ও আয়ান্সী সাউ ( প্রথম ), প্রতুষ গুপ্তা ও জাগৃতি সাহু ( দ্বিতীয় ), সাবর্নী বেরা ও দিব্যাংশ নায়েক ( তৃতীয় )
গ্রুপ – এ2 থেকে – প্রাচী গুপ্তা ( প্রথম ), শ্রদ্ধা গুপ্তা ( দ্বিতীয় ), বনস মোহতা ও দেবজ্যোতি পারিচা ( তৃতীয় ) ও অলংকৃতা নাইয়া ( চতুর্থ )।
গ্রুপ – বি থেকে – আয়ুশ পট্টনায়ক ( প্রথম ), প্রত্যুষ মন্ডল ( দ্বিতীয় ), ইশান রায় চৌধুরী ( তৃতীয় ), সৃজন রায় চৌধুরী ও অর্ঘদীপ মৈত্র ( চতুর্থ )।
গ্রুপ – সি থেকে – মেখলা মজুমদার ( প্রথম ), সানভী সরকার ও রাজদীপ দেবনাথ ( দ্বিতীয় ) শশ্রীক নন্দী ও শ্রীহান মুখার্জী ( তৃতীয় ) ও কৃষ্ণেন্দু সরকার ( চতুর্থ ) দের কে তাদের প্রতিভা অনুযায়ী পুরস্কৃত করা হয়।
প্রাক্তনী দের মধ্যে – সঞ্চালীনা ঘোষ, অয়নাংশু গিরি, স্বপ্নীল ব্যানার্জী, শ্রীজনী চন্দা, রিশিত চৌধুরী, মৌপিয়া দাশগুপ্ত, মহুল আর কীর্তনীয়া ও নীলাভ্র পাল কে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এছাড়াও অঙ্কন বিভাগে পুরস্কৃত হন শশ্রীক নন্দী ( প্রথম ), সৃজন রায় চৌধুরী ( দ্বিতীয় ) ও শ্রদ্ধা গুপ্তা ( তৃতীয় )।
স্পিড রাইটিং প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে গ্রুপ এ1 -র প্রতুষ গুপ্ত, দ্বিতীয় – গ্রুপ এ2 -র বনশ মোহতা, তৃতীয় – গ্রুপ বি -র আয়ুশ পট্টনায়ক, চতুর্থ -গ্রুপ বি -র সৃজন রায় চৌধুরী ও পঞ্চম স্থানাধিকারী সানভী সরকার। মোহনপুর শাখা সেরা শাখা হিসেবে কর্ণধার দুর্গাপদ সাহু পুরস্কার নিলেন
এছাড়াও সেরা প্রতিভার জন্য পুরস্কৃত হন শ্রীহান মুখার্জী, প্রত্যুষ মন্ডল , শ্রদ্ধা গুপ্তা, শ্রীমতী দেবস্মিতা সাহু, শ্রী দেবদত্ত পট্টনায়ক ও দুর্গাপদ সাহু।
আপনাদের জন্য রইলো Anabacus এর আয়োজিত সে দিনের আনন্দ অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও প্রতিবেদন।