কলকাতা, ৩ জুলাই ২০২৫ —
তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আচরণ এবং দলীয় তরুণ সদস্যদের সাম্প্রতিক অপরাধমূলক কার্যকলাপ নিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কসবা ল কলেজে (Kasba Law College) ঘটে যাওয়া বহুচর্চিত গণধর্ষণ কাণ্ড এবং অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পুলিশের সঙ্গে অশালীন কথোপকথনের প্রসঙ্গ মিলিয়ে তিনি তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন।
দিলীপের কটাক্ষ, “অনুব্রত যা মুখে বলেছিলেন, মনোজিতরা (Monojit Mishra and others) সেটাই বাস্তবে করে দেখিয়েছে। এরা তৃণমূলের ‘গর্ব’! দলকে ওদের পুরস্কৃত করা উচিত!”
কী বলেছিলেন দিলীপ ঘোষ?
তাঁর কথায়, “মনোজিত মিশ্ররাই কলেজ চালায়, পুলিশকেও নিয়ন্ত্রণ করে। কে পাশ করবে, কে চাকরি পাবে, সব সিদ্ধান্ত ওদের হাতে। প্রিন্সিপাল থেকে ভাইস প্রিন্সিপাল, সবাই ওদের কথা শোনেন। তৃণমূলের তরফে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এদের মতো ক্যাডার বসানোই হয়েছে, যাতে প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ থেকে প্রশাসনকেও প্রভাবিত করা যায়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কলেজের ইউনিয়ন রুমগুলো এখন তৃণমূলের পার্টি অফিস হয়ে উঠেছে। মদ, গাঁজা, জুয়া থেকে ধর্ষণের আসর পর্যন্ত বসছে।”
পুলিশের বিস্ফোরক দাবি আদালতে
কসবা ল কলেজের গণধর্ষণ মামলায় মূল অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্রের বিরুদ্ধে আদালতে পুলিশ সাফ জানায়, অভিযুক্ত অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাঁর জামিন হলে তদন্তে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। সাক্ষীদের ভয় দেখানো এবং তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
পুলিশের বক্তব্যেই কি সত্যিটা ধরা পড়ল?
পুলিশের বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত—মনোজিত মিশ্রের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক যোগসূত্র শক্তিশালী। ফলে অনেকেরই প্রশ্ন, এই ‘প্রভাব’ কীভাবে তৈরি হল? রাজনৈতিক আশ্রয় ছাড়া কি এমন আধিপত্য সম্ভব?
তৃণমূল এখনও নিরব
তৃণমূলের তরফে এই ইস্যুতে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে বিজেপির অভিযোগ, দলীয় প্রশ্রয়েই এমন ঘটনা বারবার ঘটছে।