বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার জেরে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার সংঘাত প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতিতে। এর মধ্যেই নতুন করে আলোচনায় এসেছে এক রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণী—যা করেছিলেন বিখ্যাত বুলগেরিয়ান ভবিষ্যৎদ্রষ্টা বাবা ভাঙ্গা (Baba Vanga)।

এই রহস্যজনক মহিলা ভবিষ্যদ্বক্তা ২০৬৬ সালের এক ভয়ংকর অস্ত্রের কথা বলেছিলেন, যা মানবজাতি এবং পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেছিলেন, “একটি দেশ এমন অস্ত্র তৈরি করবে, যা বাতাস, জল এবং প্রাণজগতে বিশাল বিপর্যয় আনবে।”

বাবা ভাঙ্গা তাঁর জীবদ্দশায় একাধিক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তাঁর অনেক ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবেও মিলে গেছে বলে দাবি অনেকের। ২০০১ সালের ৯/১১ হামলা থেকে শুরু করে চের্নোবিল বিপর্যয়, ব্রেক্সিট, এমনকি ভ্লাদিমির পুতিনের উত্থান নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনি।
২০২৫ সালে ইরানকে লক্ষ্য করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলা এবং কথিত বাঙ্কার বোমার ব্যবহার ফের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে সেই ২০৬৬ সালের ‘পরিবেশবিধ্বংসী’ অস্ত্রের পূর্বাভাস। যদিও এই অস্ত্র এখনো তৈরি হয়নি, তবে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যেভাবে পরিবেশ ও মানব সভ্যতা ক্ষতির মুখে পড়ে, তাতে ভবিষ্যতের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

এই অস্ত্র ঠিক কী ধরনের হতে পারে, তা নিয়ে নানা জল্পনা থাকলেও, একাংশ মনে করছেন এটি হতে পারে আবহাওয়া-নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র (weather warfare) বা জীবাণু অস্ত্র (biological weapon)। তবে বাস্তবে এমন কোনও অস্ত্র তৈরি হয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনো কোনও প্রমাণ মেলেনি।
তবুও, যুদ্ধ-সংঘাতের আবহে পুরনো সেই ভবিষ্যদ্বাণী ঘিরে জনমনে উদ্বেগ তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রযুক্তির অগ্রগতি, অস্ত্র প্রতিযোগিতা, ও ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েন আমাদের কী ভবিষ্যৎ উপহার দেবে, তা সময়ই বলবে।