স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য যে ১০ বছর আগে জলা জমিতে এই বহুতল নির্মাণ করা হয়েছিল। এই চারতলা বাড়ির একতলা বিধ্বস্তরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। কারণ বহু তলটি আগে থেকেই হেলতে শুরু করেছিল। তাই সোজা করা বা লিফটিং এর কাজ ও শুরু হয়েছিল। হরিয়ানার একটি সংস্থা সেই কাজ শুরু করে। সেই কাজের জন্যই ফ্ল্যাট বাসিন্দারা ফ্ল্যাট খারি করে অন্য ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিল। এবং সেই কাজ চলাকালীন আচমকা বহু দলটি একপাশে হেলে পড়ে। এই ঘটনা রীতিমতো আতঙ্কে ফেলে দিয়েছে কলকাতা পৌরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দাদের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ যে জলা জমির উপরেই বছর দশেক আগে বহুতলটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নরম মাটির উপর চার তলা বহুতল সেই চাপ সহ্য করতে পারেনি জ্বলা জমির নরম মাটি। এই ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে থেকে একটু একটু করে হেলতে শুরু করে বহুতলটি। বহুতলের আবাসিক রা প্রোমোটারকে এ বিষয়টি জানালে তিনি বহু তলটি ভীত থেকে লোহার জগ ব্যবহার করে তুলে সোজা করার পরিকল্পনা করেন। সেই কারণেই হারিয়ানার একটি সংস্থাকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর প্রোমোটারই ফ্ল্যাট বাসীদের অন্যথা ভাড়ায় থাকার সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।
কিন্তু দুপুর ২:৪৫ নাগাদ আচমকা বহুতলের একতলায় ফাটল ধরতে শুরু করে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে একতলার দেওয়াল। একপাশে কাত হয়ে যায় ওই চার তলা বহুতলটি। যে বাড়িটির উপর গিয়ে বহু তল পড়েছে সেটা যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাদবপুর বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার এবং ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালী বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, হারিয়ানা সংস্থাকে দিয়ে যে ওই বহুতল সোজা করার কাজ চলছে, সে বিষয়ে কলকাতা পৌরসভা কে কিছু জানাননি অভিযুক্ত প্রোমোটার। ঘটনার পর থেকে অভিহিত প্রোমোটার পলাতক। তাকে পুলিশ খুঁজতে বলে জানিয়েছেন যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা।
Written by:

গণমাধ্যম, আশুতোষ কলেজ।