ভবানী ভবনে চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের ঘিরে চলমান উত্তেজনা নিয়ে মুখ খুলল রাজ্য পুলিশ। ADG Law & Order জাভেদ শামীম এবং ADG South Bengal সুপ্রতিম সরকার এক যৌথ প্রেস কনফারেন্সে জানান, “প্রথম বেআইনি কাজটা আন্দোলনকারীদের তরফ থেকেই হয়েছে।”
গত ১০ দিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে চলা এই আন্দোলনে প্রশাসনের তরফে কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকেও আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব বজায় ছিল। কিন্তু ১৫ই মে হঠাৎ পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যায়, যখন বিকাশ ভবনের ভিতরে প্রায় ৫০০-৬০০ সরকারি কর্মচারী দীর্ঘ সময় আটকে পড়েন। পুলিশের দাবি, অন্তত ৭ ঘণ্টা তাঁদের আটক রাখা হয়। এমনকি একজন সন্তানসম্ভবা মহিলা ও এক অসুস্থ মায়ের ওষুধ পৌঁছানোও ব্যাহত হয়।
সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি ও CP-কে আটকে রাখা:
পুলিশ জানিয়েছে, আন্দোলনকারীরা বিকাশ ভবনের গেট ভেঙেছেন এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করেছেন। এমনকি CP বিধাননগর ঘটনাস্থলে পৌঁছেও আটকে পড়েন। আন্দোলনকারীরা বাঁশের ব্যারিকেড বসিয়ে তাঁকে রাস্তায় আটকে দেন।
ধৈর্যের সীমা ও বলপ্রয়োগ:
ADG জাভেদ শামীম বলেন, “আমরা দীর্ঘ সময় ধৈর্য্য দেখিয়েছি, বহুবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু যখন এতজন কর্মচারী আটকে পড়েছেন, তখন আমাদের বাধ্য হয়ে বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে।” তিনি আরও জানান, পুলিশের ১৯ জন কর্মী আহত হয়েছেন, এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রতিনিধিকেও আটকে রাখা বেআইনি:
একজন জনপ্রতিনিধির গাড়ি ৪৫ মিনিট আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানান ADG সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, “তিনি যে রাজনৈতিক দলেরই হোন না কেন, কাউকে এইভাবে আটকে রাখা সম্পূর্ণ বেআইনি।”
আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতি, কিন্তু সীমারেখা আছে:
পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, আন্দোলনের প্রতি প্রশাসনের সহানুভূতি রয়েছে, তবে তা শান্তিপূর্ণ ও আইনানুগ হলে তবেই সহযোগিতা করা হবে। রাত ৮:৩০ নাগাদ পুলিশের অ্যাকশন শুরুর সময় তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল আটকে পড়া সরকারি কর্মচারীদের নিরাপদে উদ্ধার করা, আন্দোলন দমন করাই উদ্দেশ্য ছিল না।