আজ, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ ৪ জন বিজেপি বিধায়ককে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাসপেন্ড হওয়া অন্যান্য বিধায়করা হলেন অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ এবং বিশ্বনাথ কারক।
ঘটনার বিবরণ:
সোমবার বিধানসভা অধিবেশন শুরুর পর, বিজেপি বিধায়করা রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার অভিযোগ তুলে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন। তাঁরা এই বিষয়ে আলোচনা করতে চাইলেও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমতি দেননি। এরপর, বিজেপি বিধায়করা তুমুল হইচই শুরু করেন, কার্যবিবরণী ছিঁড়ে ছোড়েন এবং সরকার বিরোধী স্লোগান দেন। এই আচরণের জন্য স্পিকার তাঁদের সাসপেন্ড করেন।

বিরোধী দলনেতার প্রতিক্রিয়া:
সাসপেনশনের পর, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছি, কার্যবিবরণীর কাগজ ছিঁড়েছি’। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘বিজেপি বিধায়কদের টার্গেট করা হচ্ছে’। শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বিরোধী দলনেতা না থাকলে, মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করবে বিজেপি’।

শাসক দলের প্রতিক্রিয়া:
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিধানসভায় অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিজেপি দায়ী। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বিজেপি বিধায়করা স্পিকারের চেয়ারকে অপমান করেছেন।
সারসংক্ষেপ:
সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজ্য বিধানসভায় তীব্র বিক্ষোভের জেরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ ৪ জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, এই পরিস্থিতি রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশকে কীভাবে প্রভাবিত করে।