ভারতের রাজনীতিতে এক চমকপ্রদ মুহূর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিনেই পদত্যাগ করলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। রাজনৈতিক মহলে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ এই সিদ্ধান্তের পেছনে কী কারণ?
হঠাৎ কেন এই পদত্যাগ?
ধনখড়ের পদত্যাগ ঘিরে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, কিছু অভ্যন্তরীণ মতপার্থক্য এবং সাংবিধানিক দায়িত্ব নিয়ে বিরোধের জেরেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি একটি বিরল ঘটনা, কারণ উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে এমন আকস্মিক পদত্যাগ দেশের ইতিহাসে খুব কম দেখা গিয়েছে।
তিনি এক বিবৃতিতে জানান, “দেশের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষার স্বার্থে আমি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”
সংসদে প্রতিক্রিয়া ও রাজনৈতিক প্রতিচ্ছবি
পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সংসদে তৈরি হয় আলোড়ন। বিরোধী দলগুলি এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেন, “এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে দেশের ভিতরে সাংবিধানিক সংকট ঘনিয়ে এসেছে।”
অন্যদিকে বিজেপি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এবং এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ধনখড়ের পদত্যাগ হয়তো ভবিষ্যতের বড় রাজনৈতিক রদবদলের সূচনাবিন্দু হতে চলেছে।

অতীত এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
জগদীপ ধনখড় রাজনীতির পাশাপাশি একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীও ছিলেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও রাজনৈতিক দৃঢ়তাই তাঁকে উপরাষ্ট্রপতির পদে নিয়ে আসে। তবে এই আকস্মিক সরে দাঁড়ানো তাঁর ভবিষ্যতের কোনও রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ কি না, তা নিয়েও গুঞ্জন চলছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, ধনখড় হয়তো আগামিদিনে কোনও বৃহত্তর রাজনৈতিক রোলে আত্মপ্রকাশ করতে পারেন।
উপসংহার: ভারতীয় রাজনীতিতে এক অপ্রত্যাশিত মোড়
জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগ ভারতীয় রাজনীতিতে এক তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত। এটি শুধুমাত্র প্রশাসনিক স্তরেই নয়, বরং দেশের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক কাঠামো সম্পর্কেও নতুন করে চিন্তাভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে। আগামী দিনে এই পদত্যাগের ফল কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
📢 আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না। মন্তব্য করুন, শেয়ার করুন এবং এই সংক্রান্ত আরও খবর জানতে আমাদের ফলো করুন।