পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এখন শুধুই সমুদ্রসৈকত নয়, বরং এক নতুন আধ্যাত্মিক কেন্দ্র। সদ্য উদ্বোধিত ‘দিঘা জগন্নাথ ধাম’ মন্দির থেকে প্রায় ৩০০ কেজি মহাপ্রসাদ রাজ্যের প্রতিটি জেলার সরকারি মিষ্টির দোকানে পাঠানো হচ্ছে। এই খোয়া দিয়ে তৈরি হবে গজা ও পেঁড়ার মতো মিষ্টি, যা রাজ্যের সাধারণ মানুষ ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন ১৭ জুন থেকে।

প্রসাদ বিতরণের পদ্ধতি
- মহাপ্রসাদ পরিবহন হচ্ছে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে।
- প্রতিটি ব্লক এলাকার সরকার অনুমোদিত মিষ্টির দোকানে এই খোয়া পাঠানো হবে।
- সেখানে তৈরি হবে বিশেষ প্যাকেটজাত গজা ও পেঁড়া।
- খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পের সাহায্যে এই মিষ্টি পৌঁছে যাবে সাধারণ মানুষের বাড়িতে।
সরকারের লক্ষ্য কী?
সংস্কৃতি ও তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান—
“অনেকেই জগন্নাথ মন্দিরে যেতে পারেন না। তাঁদের জন্য এই মহাপ্রসাদ পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।”
সরকারের মতে, এটি শুধু ধর্মীয় আয়োজন নয়, বরং একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংহতির প্রচেষ্টা।

কবে থেকে শুরু?
- ৯ জুন ২০২৫: মহাপ্রসাদ দিঘা মন্দির থেকে জেলা অফিসে পৌঁছায়
- ১৭ জুন ২০২৫: বিতরণ শুরু রাজ্যজুড়ে
কেন এই উদ্যোগ আলাদা?
- প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে কোনও মন্দিরের মহাপ্রসাদ সরকারি ব্যবস্থাপনায় ঘরে ঘরে পৌঁছবে।
- এই উদ্যোগ জগন্নাথ পূজার গুরুত্ব ও বাংলা মিষ্টির ঐতিহ্যকে একসঙ্গে উদযাপন করছে।
- সরকারের প্রকল্প ও ধর্মীয় ভাবনাকে মেলবন্ধনে নিয়ে আসার এক নতুন নজির এটি।