Home » উচ্চ আদালতের রায়ে পরিচালকদের জয়! ফেডারেশনকে কড়া বার্তা: ‘মিথ্যা বলার ধৃষ্টতা আর না দেখায়’
ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ১৩ জন পরিচালকের দায়ের করা মামলায় উচ্চ আদালতের গুরুত্বপূর্ণ রায়। ফেডারেশনের আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দেওয়া হল—পরিচালকদের মামলাকে মিথ্যা বলার সাহস আর যেন না দেখায় সংগঠনটি। আদালতের এই রায় নতুন করে ভরসা দিল টলিউডের স্বতন্ত্র পরিচালকদের।
Table of Contents
Share Our Blog :
Facebook
WhatsApp
প্রতিবেদক: দ্য ইন্ডিয়ান ক্রনিকলস ডেস্ক তারিখ: ৪ জুলাই ২০২৫
টলিউডে পরিচালকদের স্বাধীনতা রক্ষার লড়াইয়ে বড় জয় পেলেন ১৩ জন খ্যাতনামা পরিচালক। রাজ্যের উচ্চ আদালত তাঁদের পক্ষে রায় দিয়ে ফেডারেশনের করা আবেদনের খারিজ ঘোষণা করল। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও ঋতব্রত কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, এই মামলা মিথ্যা—ফেডারেশন আর এমন অভিযোগ তুলতে পারবে না।
পরিচালক বিদুলা ভট্টাচার্যের পক্ষে গলা মিলিয়ে যে ১৩ জন পরিচালক আইনি পথে হাঁটেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুব্রত সেন, সুদেষ্ণা রায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট নাম। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ফেডারেশন পরিচালকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে বাধা দিচ্ছে এবং একাধিক পরিচালকের কাজ জোর করে বন্ধ করে দিয়েছে।
তাঁদের মামলায় আগেই বিচারক অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছিলেন—পরিচালকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যাবে না এবং তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে দিতে হবে। সেই রায়েই ফের সিলমোহর দিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এই মামলায় শুধু ফেডারেশন নয়, একজোট হয়ে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার ও টলিউডের কয়েকটি গিল্ডও। কিন্তু আদালতের মতে, তাঁদের যুক্তিতে কোনো আইনসঙ্গত ভিত্তি নেই। ফলে সমস্ত আবেদনই খারিজ হয়ে যায়।
রায় ঘোষণার পর ১৩ জন পরিচালক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেন,
“আশা করি, উচ্চ আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে ফেডারেশন ভবিষ্যতে আমাদের মামলাকে মিথ্যা বলার ধৃষ্টতা আর দেখাবে না।”
আগামী ৮ জুলাই বিচারপতি অমৃতা সিংহের এজলাসে শুনানি হবে পরিচালকদের দায়ের করা আদালত অবমাননার মামলার। সেই দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন অভিযুক্ত পরিচালকরা।
অন্যদিকে, কয়েক দিন আগেই প্রযোজকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। জানিয়েছিলেন, আইনত পথ বেছে নেওয়াদের তাঁরা স্বাগত জানান। কিন্তু এই রায়ের পর তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলেও কোনও সাড়া মেলেনি।
প্রসঙ্গত, প্রথমে মামলায় ১৫ জন পরিচালক ছিলেন। পরে ২ জন সরে দাঁড়ান। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বারবার আবেদন করেও রাজ্য সরকার বা ফেডারেশন আলোচনায় বসেনি, তাই বাধ্য হয়েই আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়েছে।
বিচারক অমৃতা সিংহ আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই বিষয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিবেরও দায়িত্ব রয়েছে। কোনও পরিচালক সমস্যায় পড়লে, দ্রুত রিপোর্ট তৈরি করে আদালতে জমা দিতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে ফের পরিচালকদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই প্রেক্ষিতেই এই কড়া রায়।
এই রায় শুধু পরিচালকদের নয়, শিল্পী এবং কলাকুশলীদের স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকারের পক্ষেও এক বড় বার্তা।
গোপন ‘ভদকা এক পেগ’ থেকে আজকের হিপস্টার ককটেল! সুরাপানে বাঙালির ইতিহাস কী বলে? আধুনিক কলকাতার বার কালচার কি শুধুই নতুন ট্রেন্ড, না পুরনো ঐতিহ্যেরই পুনরাবিষ্কার? পড়ুন সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ।
রাজভবনে চৌরঙ্গীর ফুল নাটক প্রদর্শনের সময় বাজল ‘আমি কলকাতার রসগোল্লা’র মতো চটুল গান। রাজ্যপালের রচনায় নাট্যাভিনয় দেখে অনেকের প্রশ্ন—রাজভবনের গরিমা কি তবে বিনোদনের ভিড়ে হারিয়ে গেল?
বাংলাভাষীদের পরিকল্পিতভাবে দেশছাড়া করছে বিজেপি? আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা HRW-এর রিপোর্ট উদ্ধৃত করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে ‘সংবিধান লঙ্ঘন’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
বিহার নির্বাচনের মুখে সাংবাদিকদের জন্য বড়সড় পেনশন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল নীতীশ কুমার সরকার। ‘বিহার পত্রকার সম্মান পেনশন স্কিম’-এর আওতায় ৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হল ১৫ হাজার টাকা মাসিক পেনশন। প্রয়াত সাংবাদিকদের স্ত্রী বা স্বামীও পাবেন আজীবনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে পেনশন। এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পুজো আগেই এসেছে, আর আসছে চাঁদার ‘লক্ষ্মীলাভ’। এবারে দুর্গাপুজোয় কমিটি পিছু এক লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাসের শেষে নেতাজি ইনডোরে হতে পারে বৈঠক। থাকছে আগের মতোই বিদ্যুৎ ছাড় ও লাইসেন্স ফি মকুবের সম্ভাবনা।