Home » বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আগে, বহুতল নির্মাণে রাশ: দমদম বিমানবন্দরের ২০ কিমি এলাকার মধ্যে বন্ধ বহুতল প্রকল্প, ঘোষণা ফিরহাদ হাকিমের
ফিরহাদ হাকিম জানালেন, দমদম বিমানবন্দর থেকে ২০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বহুতল নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
Table of Contents
Share Our Blog :
Facebook
WhatsApp
কলকাতা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত দমদমের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (NSCBI Airport)-এর ২০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে আর কোনও নতুন বহুতল (multi-storey building) নির্মাণ অনুমোদন পাবে না, ঘোষণা করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সম্প্রতি আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা প্রশাসনিক মহলে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ওই ঘটনায় বিমানবন্দরের নিকটবর্তী বহুতল হোস্টেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। সেই অনুষঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
ফিরহাদ হাকিম সংবাদমাধ্যমে জানান—
“বিমানবন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত জরুরি। যদি ভবিষ্যতে বিমান অবতরণ বা টেক-অফে কোনও বিপত্তি ঘটে, তাহলে আশেপাশের বহুতল ভবনগুলি বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।”
📍 কোন কোন এলাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে?
প্রতিবন্ধকতার ২০ কিমি ব্যাসার্ধের গণ্ডির মধ্যে পড়বে—
বিধাননগর (Salt Lake)
উত্তর দমদম পুরসভা এলাকা
মধ্যমগ্রাম
নিউ ব্যারাকপুর
লেক টাউন ও বাগুইআটি সংলগ্ন অঞ্চল
রাজারহাটের কিছু অংশ
এইসব এলাকায় উচ্চতা সীমাবদ্ধ করে বিমান চলাচলের নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে।
📜 কী বলছে প্রশাসন ও DG Building অনুমোদন দপ্তর?
ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দিয়েছেন, এখন থেকে DG Building অনুমতি ছাড়া কোনও বহুতল প্রকল্পের ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না।
কোনও নির্মাণ প্রস্তাব জমা পড়লে তা যাচাই করে তবেই অনুমোদন দেওয়া হবে।
AAI (Airports Authority of India)-এর তরফেও ভবিষ্যতে নোটিফিকেশন জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
🏗️ প্রোমোটার ও বাসিন্দাদের জন্য সতর্ক বার্তা
বর্তমানে যাঁরা নতুন ফ্ল্যাট বুক করেছেন বা কোনও বহুতল প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চাইছেন, তাঁদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু করণীয়:
✅ সরকারি অনুমোদনপত্র (NOC) যাচাই করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন
✅ পুরসভা বা সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে উচ্চতা সংক্রান্ত নিয়মাবলী জেনে নিন
❌ অনুমোদন ছাড়া কোনও নির্মাণ বা বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকুন
🔍 বাজার ও নির্মাণ শিল্পে প্রভাব
এই ঘোষণা রিয়েল এস্টেট মার্কেটে সাময়িক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে উত্তর কলকাতা, রাজারহাট, ও বিধাননগর অঞ্চলে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে নিরাপত্তা নির্ভর, স্মার্ট ডিজাইন ভিত্তিক নগর উন্নয়নই হবে নতুন ট্রেন্ড।
📢 সরকারি স্তরে পরবর্তী পদক্ষেপ
✍ AAI এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে একটি স্পষ্ট নীতিমালা প্রকাশ করতে পারে
📑 বিমানবন্দর এলাকার চারপাশে ‘No Objection Zone’ তৈরি হতে পারে
🏙 বিদ্যমান বহুতল গুলির ক্ষেত্রে ‘রেট্রোফিটিং’ বা বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশ আসতে পারে
এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র স্থাপত্যগত সীমাবদ্ধতা নয়, বরং জননিরাপত্তা ও পরিবেশ সংবেদনশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি সাহসী পদক্ষেপ। কলকাতা মেট্রোপলিটন অঞ্চলের শহর পরিকল্পনায় এখন যে কোনও নির্মাণ হবে নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে।
গোপন ‘ভদকা এক পেগ’ থেকে আজকের হিপস্টার ককটেল! সুরাপানে বাঙালির ইতিহাস কী বলে? আধুনিক কলকাতার বার কালচার কি শুধুই নতুন ট্রেন্ড, না পুরনো ঐতিহ্যেরই পুনরাবিষ্কার? পড়ুন সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ।
রাজভবনে চৌরঙ্গীর ফুল নাটক প্রদর্শনের সময় বাজল ‘আমি কলকাতার রসগোল্লা’র মতো চটুল গান। রাজ্যপালের রচনায় নাট্যাভিনয় দেখে অনেকের প্রশ্ন—রাজভবনের গরিমা কি তবে বিনোদনের ভিড়ে হারিয়ে গেল?
বাংলাভাষীদের পরিকল্পিতভাবে দেশছাড়া করছে বিজেপি? আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা HRW-এর রিপোর্ট উদ্ধৃত করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে ‘সংবিধান লঙ্ঘন’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
বিহার নির্বাচনের মুখে সাংবাদিকদের জন্য বড়সড় পেনশন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল নীতীশ কুমার সরকার। ‘বিহার পত্রকার সম্মান পেনশন স্কিম’-এর আওতায় ৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হল ১৫ হাজার টাকা মাসিক পেনশন। প্রয়াত সাংবাদিকদের স্ত্রী বা স্বামীও পাবেন আজীবনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে পেনশন। এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পুজো আগেই এসেছে, আর আসছে চাঁদার ‘লক্ষ্মীলাভ’। এবারে দুর্গাপুজোয় কমিটি পিছু এক লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাসের শেষে নেতাজি ইনডোরে হতে পারে বৈঠক। থাকছে আগের মতোই বিদ্যুৎ ছাড় ও লাইসেন্স ফি মকুবের সম্ভাবনা।