সম্প্রতি আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক যাত্রী। কিন্তু এই ভয়াবহ ট্র্যাজেডির মধ্যেও অলৌকিকভাবে একজন মাত্র যাত্রী বিশ্বাস কুমার রমেশ প্রাণে বেঁচে যান। তাঁর বেঁচে ফেরা যেন মনে করিয়ে দেয় আরেক আশ্চর্যজনক চরিত্র—ফ্রানে সেলাক, যিনি এক বা দুই নয়, সাতবার মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে এসেছেন।
কে এই বিশ্বাস কুমার রমেশ?

আমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছাকাছি একটি বেসরকারি চার্টার বিমানে আগুন লাগার পর মাটিতে ধাক্কা খেয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এই দুর্ঘটনায় বেশিরভাগ যাত্রীর মৃত্যু হয়।
কিন্তু বিশ্বাস কুমার রমেশ, যিনি জানালার পাশে বসেছিলেন, উদ্ধারকারীদের দ্রুত পদক্ষেপে প্রাণে বাঁচেন। চিকিৎসকদের মতে, এটা শুধুমাত্র ভাগ্য নয়, অলৌকিক বললেও ভুল হবে না।
ইতিহাসের পাতায় ‘ভাগ্যবান’ ফ্রানে সেলাক

ক্রোয়েশিয়ার বাসিন্দা ফ্রানে সেলাক বিখ্যাত হয়েছিলেন তাঁর ৭টি মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়ার জন্য:
- ১৯৬২: ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে পড়ে; বেঁচে যান।
- ১৯৬৩: বিমান থেকে ছিটকে পড়েও প্রাণে বাঁচেন।
- ১৯৬৬: বাস নদীতে পড়ে গেলে চারজন মারা যায়, ফ্রানে বেঁচে যান।
- ১৯৭০: গাড়িতে আগুন লাগে, কিন্তু তিনি নিরাপদ।
- ১৯৭৩: দ্বিতীয়বার গাড়ির ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ; কেবল চুল পুড়ে যায়।
- ১৯৯৫: বাসের ধাক্কা খেয়েও গুরুতর আহত হননি।
- ১৯৯৬: গাড়ি খাদে পড়ার আগে লাফ দিয়ে গাছ ধরে বেঁচে যান।
তারপর ২০০৩ সালে তিনি লটারি জিতে হন কোটিপতি! কেউ বলেন, তিনি সবচেয়ে সৌভাগ্যবান, আবার কেউ বলেন সবচেয়ে দুর্ভাগা।
বিশ্বাস ও সেলাক: কী বার্তা দেয় এই ঘটনাগুলি?
বিশ্বাস কুমার হোক বা ফ্রানে সেলাক—দুজনেই প্রমাণ করেন, কখনও কখনও জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মুহূর্তগুলিও জীবনদায়ী হতে পারে।
এমন ঘটনা আমাদের মনে করায়, যতই বিজ্ঞান এগিয়ে যাক, কিছু কিছুর ব্যাখ্যা শুধুই ভাগ্য কিংবা ঈশ্বরের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।