নিজস্ব প্রতিবেদন |
বিশ্বজুড়ে জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে ফের দানা বাঁধছে উদ্বেগ। ইরানের সংসদ সম্প্রতি একটি প্রস্তাব পাশ করেছে, যাতে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই প্রণালী দিয়েই প্রতিদিন বিশ্বে ব্যবহৃত প্রায় ২০ শতাংশ তেল পরিবাহিত হয়। এর ফলে সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে জ্বালানির দাম এবং তেল সরবরাহের উপর, যার আঁচ ভারতের উপরও পড়ার আশঙ্কা।

🔍 হরমুজ প্রণালী কেন গুরুত্বপূর্ণ?
হরমুজ প্রণালী হল ওমান উপসাগর ও পারস্য উপসাগরের সংযোগকারী একটি সংকীর্ণ জলপথ। সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত, কাতার, আরব আমিরশাহী ও ইরান থেকে রপ্তানিকৃত অপরিশোধিত তেলের বিশাল অংশ এই পথ দিয়েই বিশ্ববাজারে পৌঁছায়। প্রণালীটি যদি বন্ধ হয়, তবে জ্বালানি তেল সরবরাহে চরম ব্যাঘাত ঘটবে।

ভারতের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে?
ভারত তার প্রায় ৮৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেল বিদেশ থেকে আমদানি করে, যার অনেকটাই হরমুজ প্রণালী হয়ে আসে। যদিও বর্তমানে ভারত রাশিয়া, আমেরিকা, ব্রাজিল সহ বহু দেশ থেকে বিকল্প পথে তেল আমদানি করছে, তবুও এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববাজারে সরবরাহের অস্থিরতা তৈরি করবে এবং এর প্রভাব ভারতীয় বাজারেও পড়বে।

🛢️ পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়বে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, হরমুজ প্রণালী বন্ধের আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক বাজারে ইতিমধ্যে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম $৮০ প্রতি ব্যারেল ছাড়িয়েছে। ফলে পরবর্তী সময়ে ভারতে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়তে পারে। তবে ভারত সরকারের দাবি, তারা আগে থেকেই বিকল্প আমদানি উৎস তৈরির দিকে নজর দিয়েছে এবং দেশের স্ট্র্যাটেজিক পেট্রোলিয়াম রিজার্ভ (SPR) ব্যবস্থাও যথেষ্ট মজবুত।

🗣️ কী বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?
ভারতের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানিয়েছেন,
“ভারত যে কোনও আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত। আমাদের আমদানি উৎস বৈচিত্র্যময় হওয়ায়, কোনও প্রকার তীব্র প্রভাব পড়বে না।”
হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বিশ্ববাজারে তেলের জোগান ব্যাহত হবে।
ভারত প্রভাবিত হতে পারে, তবে বিকল্প পরিকল্পনার জন্য বড় ঝুঁকিতে পড়বে না।
সাধারণ মানুষের উপর দাম বৃদ্ধির কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে, তবে সেটা সাময়িক।