মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মাঝে এবার বড় ঘোষণা করলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি অনুযায়ী, ইসরায়েল এবং ইরান এক পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে, যা ধাপে ধাপে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কার্যকর হবে।
কী বলেছেন ট্রাম্প?
Truth Social-এ এক বিবৃতিতে ট্রাম্প লেখেন,
“A complete & total ceasefire between Israel and Iran will be phased in over the next 24 hours. Iran will begin the process, and Israel will follow 12 hours later.”
CONGRATULATIONS TO EVERYONE! It has been fully agreed by and between Israel and Iran that there will be a Complete and Total CEASEFIRE (in approximately 6 hours from now, when Israel and Iran have wound down and completed their in progress, final missions!), for 12 hours, at…
— Trump Truth Social Posts On X (@TrumpTruthOnX) June 23, 2025
তিনি জানান, এই যুদ্ধবিরতি সফল হতে পারে যদি উভয় পক্ষ “শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক আচরণ” বজায় রাখে।

পটভূমি: যুদ্ধবিরতির আগে কী ঘটেছে?
সম্প্রতি ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর হামলার জবাবে, ইরান কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। যদিও কোনও প্রাণহানি ঘটেনি, তবুও এই পাল্টা হামলার পর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতা তীব্র হয়।
কাতার মধ্যস্থতার মাধ্যমে একটি শান্তিচুক্তির প্রস্তাব আনে, যেখানে প্রথমে ইরান অস্ত্রবিরতির পথ ধরবে, তার ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েলও যুদ্ধ থামাবে—এমনটাই ট্রাম্পের দাবি।

ইরানের প্রতিক্রিয়া কী?
ইরান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দেয়নি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন,
“যদি ইসরায়েল তাদের আগ্রাসন বন্ধ না করে, তাহলে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”
এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, কূটনৈতিক স্তরে চূড়ান্ত চুক্তি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, যদিও আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
বিশ্বজুড়ে এই ঘোষণাকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন,
“মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথে এটি একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে।”
বিশ্লেষকদের মতে, যদি এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, তাহলে এটি হবে সাম্প্রতিক দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অর্জন।
🔖 সংক্ষেপে মূল তথ্য:
- ট্রাম্প দাবি করেছেন ইসরায়েল ও ইরান পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত।
- যুদ্ধবিরতি ধাপে ধাপে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কার্যকর হবে।
- ইরান প্রথম ১২ ঘণ্টা, ইসরায়েল পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় অংশ নেবে।
- ইরান এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি দেয়নি।
- কাতার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।