বলিউডে প্রতিভা থাকলেও নারীদের জন্য আজও নিরাপদ নয় অডিশনের পরিবেশ। কৌতুক অভিনেত্রী ও জনি লিভারের মেয়ে জেমি লিভার সম্প্রতি এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বললেন, এক অডিশনের সময় তাকে ভিডিও কলে পোশাক খুলতে বলা হয়েছিল। তিনি জানান, চরিত্রটিকে ‘বোল্ড’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল, কিন্তু কোনো স্ক্রিপ্ট বা বিস্তারিত কিছুই দেওয়া হয়নি।
🔍 অডিশনের নামে অনৈতিক প্রস্তাব: কী বললেন জেমি?
এক সাক্ষাৎকারে জেমি বলেন, “আমি যখন ভিডিও কলে অডিশনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম, তখন তারা বলল চরিত্রটি খুব বোল্ড। কিন্তু তারা আমাকে কোনও স্ক্রিপ্ট দেয়নি। বরং বলল, ‘আপনি যদি একটু কাপড় খুলে দেখান তাহলে বোঝা যাবে আপনি চরিত্রটি বহন করতে পারবেন কিনা।’ আমি পুরোপুরি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।”
এই ঘটনা আবার প্রমাণ করে দেয়, অভিনেত্রীদের উপর কেমন ধরনের মানসিক চাপ তৈরি করা হয় অডিশনের নামে।

🎭 ‘বোল্ড’ চরিত্রের আড়ালে অপেশাদারিত্ব
জেমি জানান, এই অডিশনের সময় কোনো প্রফেশনালিজম দেখা যায়নি। নির্দেশক বা প্রযোজকের নামও স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি, স্ক্রিপ্ট বা চরিত্রের ব্যাকস্টোরিও ছিল না। শুধু বলা হয়েছিল, চরিত্রটি সাহসী এবং তাকে সেই সাহস প্রমাণ করতে হবে।
এভাবে একজন অভিনেত্রীকে ভিডিও কলে জামা খোলার প্রস্তাব দেওয়া শুধু অপেশাদার নয়, একেবারে নৈতিকতার পরিপন্থী। এমন ঘটনায় প্রশ্ন ওঠে, কতজন নতুন অভিনেত্রী এই ধরনের অডিশনে প্রতারিত হচ্ছেন?
এই ঘটনার পর জেমি আরও বলেন, “আমার কাছে আত্মসম্মান বেশি। তাই সঙ্গে সঙ্গে কল কেটে দিই এবং জানিয়ে দিই যে আমি এতে অংশ নেব না।”
🌐 ইন্ডাস্ট্রিতে নিরাপদ অডিশনের দাবি জোরালো
এই ধরনের ঘটনা যে নতুন নয়, তা জানা যাচ্ছে বিভিন্ন অভিনেত্রীদের অভিজ্ঞতা থেকে। মিটু আন্দোলনের পরেও বলিউডে অডিশনের নাম করে এমন অনৈতিক প্রস্তাবের সংখ্যা কমেনি।
অনেক নতুন অভিনেত্রী পেশাদার সুযোগের আশায় পড়েন এই ধরনের ফাঁদে। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতা, লজ্জা, এবং ক্যারিয়ার হারানোর ভয়ে অনেকেই চুপ থাকেন।
জেমির সাহসী প্রকাশে আবার উঠে আসছে প্রশ্ন –
➡️ কেন আজও অডিশন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ নয়?
➡️ কোন সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে অনলাইন অডিশনের ক্ষেত্রে?
➡️ নতুন অভিনেত্রীদের জন্য কীভাবে তৈরি করা যায় একটি নিরাপদ পরিসর?
🔚 উপসংহার: শিল্পে সম্মানের দাবিতে জোর দিন
জেমি লিভারের অভিজ্ঞতা কেবল একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয় – এটি বলিউড ইন্ডাস্ট্রির এক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার প্রতিফলন। যেখানে ‘বোল্ড চরিত্র’র আড়ালে লুকিয়ে থাকে অনৈতিক ও লজ্জাজনক প্রস্তাব। এই প্রতিবাদ শুধুই মিডিয়া শিরোনাম হওয়ার নয় – এটি হতে হবে পরিবর্তনের ডাক।