কলকাতা আবহাওয়া আপডেট: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘উইফা’-র রেশ কাটলেও তার প্রভাব পুরোপুরি শেষ হয়নি। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উইফার রেশ: বৃষ্টি নামবে বৃহস্পতি থেকে
ঘূর্ণিঝড় ‘উইফা’-র কেন্দ্রবিন্দু এখন আর সক্রিয় না থাকলেও তার অবশিষ্টাংশ বঙ্গোপসাগরের উপরে সক্রিয় রয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের (IMD) মতে, এই নিম্নচাপ পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগোচ্ছে এবং বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ৭০–১০০ মিমি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

কলকাতার জন্য সতর্কতা এবং প্রস্তুতি
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত দমকা হাওয়া সহ ভারী বৃষ্টি চলতে পারে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। শহরের জলমগ্নতা রোধে কলকাতা পুরসভা (KMC) ইতিমধ্যেই জলনিকাশি ব্যবস্থায় অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করছে।
গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা:
- নিম্নাঞ্চলগুলিতে জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে
- যানজট ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কা
- স্কুল ও অফিসগামীদের ছাতা ও রেইনকোট সঙ্গে রাখার পরামর্শ
- প্রবল বৃষ্টির দিনে ঘর থেকে বের না হওয়াই ভালো
এই সময় গঙ্গা ও অন্যান্য নদীতে জলস্তরও বাড়তে পারে। মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

অতিরিক্ত তথ্য: বৃষ্টির পর কৃষিতে প্রভাব ও জনজীবনের পরিবর্তন
এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ শহরবাসীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে যেমন প্রভাবিত করে, তেমনি চাষবাসে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ধান চাষের জন্য এই সময়ের বৃষ্টি খুবই দরকারি হলেও, অতিবৃষ্টির কারণে জমিতে জল জমে গেলে ক্ষতিও হতে পারে।
কৃষি বিশ্লেষকদের মত:
“উইফার প্রভাবে আসা বৃষ্টি যদি তিন-চার দিনের বেশি স্থায়ী না হয়, তাহলে এটা ধানের বীজতলা ও রোপণে সাহায্য করবে।”
তবে শহরে নাগরিক জীবনে এই বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দোকান, ব্যবসা, ট্র্যাফিক সব কিছুতেই প্রভাব পড়তে চলেছে।
উপসংহার: প্রস্তুতি নিন, সচেতন থাকুন
বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কলকাতায় প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস যথেষ্ট উদ্বেগের হলেও পূর্ব প্রস্তুতি নিলে পরিস্থিতি সহজে মোকাবিলা করা সম্ভব। শহরবাসীকে আবহাওয়ার আপডেট নজরে রাখতে এবং প্রয়োজনে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
📢 আপনার এলাকায় পরিস্থিতি কেমন? কমেন্টে জানান ও প্রতিবেদনটি শেয়ার করুন যাতে অন্যরাও সতর্ক হতে পারেন।