কলকাতা, ২৩ মার্চ ২০২৫: জিনিয়াস কিডস স্কুলের উদ্যোগে সফলভাবে সম্পন্ন হলো “দ্য লিটল জিনিয়াস শো & অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫”। মধ্যসূদন মঞ্চে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল “কথায় ও সুরে… কল্লোলিনী কলকাতা”, যেখানে ২ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুরা তাদের মেধা ও সৃজনশীলতার উজ্জ্বল প্রদর্শনী উপস্থাপন করে কলকাতার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নতুন রূপে ফুটিয়ে তুলল।

কলকাতার সংস্কৃতি ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা
এই অনুষ্ঠানে শুধু শিশুদের প্রতিভার প্রদর্শনীই ছিল না, বরং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তাদের অসামান্য অবদানের জন্য সম্মানিত করা হয়। এ বছরের লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী উষা উত্থুপ, যিনি ভারতীয় পপ মিউজিকে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছেন।

অন্যান্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন—
✔ মনোজ খেমকা (প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, বাজার কলকাতা) – কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটিতে উৎকর্ষতার জন্য
✔ কিশান কেজরিওয়াল (চেয়ারম্যান, MCKV Group of Institutions) – সাহসী এডুপ্রেন্যুর হিসাবে স্বীকৃতি
✔ ঊর্মি বসু (সমাজকর্মী) – সামাজিক উন্নয়নে উৎকর্ষতার জন্য
✔ ডাঃ জয়দেব রায় (বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ) – মেডিকেল সাপোর্টে বিশেষ অবদানের জন্য
✔ অরিন্দম শীল (অভিনেতা-প্রযোজক-পরিচালক) – সামাজিক উদ্যোগে বিশেষ ভূমিকার জন্য
✔ রাজ চক্রবর্তী (পরিচালক) – বছরের সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতা (“সন্তান” সিনেমার জন্য)
✔ অনীর্বাণ আদিত্য (ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আদিত্য গ্রুপ) – নতুন সৃজনশীল উদ্যোগের জন্য

কলকাতার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক দায়বদ্ধতার মেলবন্ধন
“দ্য লিটল জিনিয়াস শো & অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫” শুধুমাত্র এক সাংস্কৃতিক আয়োজনই নয়, বরং এটি কলকাতার সৃজনশীলতা, সহমর্মিতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার এক অনন্য উদযাপন। জিনিয়াস কিডস স্কুল ও সৈশিখা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান বিশেষভাবে অসহায় ও অনাথ শিশুদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সংকল্পকে পুনরায় দৃঢ় করেছে।
জিনিয়াস কিডসের প্রতিষ্ঠাতা বিকাশ সিংহ বলেন,
“এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা শুধু শিশুদের প্রতিভাকে মঞ্চে তুলে ধরিনি, বরং তাদের সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে চেয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক দায়বদ্ধতার মিশ্রণে আগামী প্রজন্ম আরও আলোকিত হবে।”
এই আয়োজন প্রমাণ করল যে কলকাতা শুধু বই ও সংস্কৃতির শহরই নয়, এটি একাধারে প্রতিভার উৎসস্থল, যেখানে নতুন প্রজন্ম সৃজনশীলতা ও মানবিকতার মিশেলে এক নতুন দিগন্তের দিকে এগিয়ে চলেছে।