“ভাষা, সংস্কৃতি ও প্রতিবাদের পথে ‘বাঘিনী’, পাশে অভিষেক—এক অন্যরকম লড়াইয়ের ডাক”
The Indian Chronicles | বিকি সাহা | বিশেষ প্রতিবেদন | কলকাতা, জুলাই ১৮, ২০২৫
বারেবারে যখন ভাষার উপরে নেমে এসেছে আক্রমণ, ততবার স্লোগান মুখরিত হয়েছে কল্লোলিনী তিলোত্তমা।
কেন্দ্রীয় সরকার ঠারেভারে, আর মোটামুটি প্রতিক্ষেত্রে বুঝিয়ে দিয়েছেন শেষ কয়েক বছরে মিটিং গুলোয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর, মাইক বন্ধ করে দেয়া , বলতে না দেয়া ! সর্বসম্মত ভাবে পাশ কয়ে যাওয়া আইনে “পশ্চিম” বাদ দিয়ে বাংলা নাম হওয়া, স্পেশাল প্যাকেজ এ বিহার এর সিকিভাগ না পাওয়া , বাংলায় কথা বললে অপমান এবং এই ধারা বহমান !

একসময় কলকাতা থেকে রাজধানী স্থানান্তর করা হলো দিল্লি তে, কলকাতা তথা বাংলা কে নিয়ে বিদ্বেষ “উত্তরের” “গো বলয়ের” চিরকাল ; আসলে মেধা বিধয় টা হজম করা কঠিন কিনা!
কিন্তু ভারতবর্ষের স্বাধীনতার এতো বছর পরেও, ভারত বর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ সবচেয়ে বেশি যে ভাষার, সে ভাষার বারেবারে অপমান মেনে নেয়া কঠিন ভীষণ । সে যতই এ রাজ্যের মুখমন্ত্রী কে ব কলমে দুটো বা তিনটে রাজ্য কে খাওয়াতে পড়াতে হয় !
খাবারের উপরে নিষেধের চেষ্টা চলছিলই , বিগত সময়গুলো তে রাষ্ট্রযন্ত্রের বাইরে বাঙালিকে ছুড়ে ফেলার প্রবণতা চলছেই ; সে মুড়ি -চিঁড়ে – ধুতি – লুঙ্গি ; কিংবা এই সেদিনের সিঙ্গারা – জিলিপি – অমৃতি।

আচ্ছা ধোকলা কিংবা খাকরা এগুলো কি সিঙ্গারা বা জিলিপি অপেক্ষা স্বাস্থ্যকর ?? যাইহোক শেষ অবধি বাঁধ ভাঙলো, বাঘিনী পথে নামলেন আর সেই সাথে পথে নামলেন কয়েক লক্ষ মানুষ ; শুরু হলো হাঁটা, শহরের রাজপথ জুড়ে হাটছেন বাংলার জননেত্রী , কয়েক লক্ষ মানুষ একসাথে স্লোগান দিচ্ছেন , হাটছেন জননেত্রী , কাঁপছে রাস্তা।

একটু এগিয়ে উনি অপেক্ষা করলেন, তার পাশে এসে দাঁড়ালেন তারই ছায়া, আবার একটা গগণভেদি চিৎকার আর তার হাসিমুখে মানুষ কে প্রণাম, আকাশ ভারী হলো , মমতা হাঁটবেন আর বৃষ্টি হবে না এ তো হয় না ! ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি তে সুতির শাড়ি হাওয়াই চটির পাশে হাটছে একটা নীল pant সাদা শার্ট পরিহিত এক যুবক, সাদা জামার হাতা গুটিয়ে নিলেন কিঞ্চিৎ, বৃষ্টি -ঘাম মেশা প্রত্যয়ী একটা মুখ এগিয়ে চলেছেন জননেত্রীর পাশে, রাস্তার দুধারে স্লোগান মুখরিত উৎসুক মানুষদের অভিবাদন জানাতে জানাতে । অনেকদিন পর রাস্তায় তৃণমূল , তাতে মমতা ব্যানার্জী অভিষেক ব্যানার্জী একসাথে , বাঁধ ভাঙা মানুষের ভিড় এরই মাঝে হটাৎ সিদ্ধান্ত মিছিলের রুট খানিক পরিবর্তন হবে, পুরোনো ছকভাঙ্গা মমতা ব্যানার্জি । যাকে বলে “ভিন্টেজ ক্লাসিক ”। বাংলা ভাষার উপরে নেমে আসা আঘাতগুলো প্রত্যাঘাত, রবীন্দ্র নজরুল সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়া রাজনৈতিক এক লড়াই যে লড়াই বাংলার আপামর মানুষকে সঙ্গে নিয়ে।



সেদিনের মিছিল যেন এক স্পষ্ট বার্তা , সেনাপতি শব্দের যথার্থ মানে বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছেন অভিষেক। বৃষ্টি ভেজা,. শার্টের হাতা গুটিয়ে নেত্রীর পাশে শান্ত কিন্তু তীক্ষ্ণ দৃষ্টি তে এগিয়ে যাওয়া নি:শব্দে ।
২১ এ জুলাই এর ঠিক পাঁচদিন আগে এতো বড়ো কর্মযজ্ঞ খুব একটা করতে দেখা যায়নি মমতা ব্যানার্জী কে!
কিন্তু দিনশেষে ওই , উনি মমতা ; সব পারেন । পরিবর্তনের কান্ডারি , তার অভিধানের মধ্যে না , হবে না , এই শব্দ গুলো নেই , আর থাকলেও মুছে দিয়েছেন উনি , বাংলা থেকে সিপিএমের মতোই !