দ্য ইন্ডিয়ান ক্রনিকলস | ২৩ জুলাই ২০২৫
বিতর্কের মুখে দীপক ঘোষের লেখা ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে যেমন দেখেছি’ বইটি। মঙ্গলবার বারাসত আদালতের সিভিল জজ (জুনিয়র ডিভিশন) পৌলোমী পণ্ডিত এক অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে জানিয়ে দেন, এই বই প্রকাশ, বিক্রি বা কোনও অংশের প্রকাশও আপাতত নিষিদ্ধ।

এই রায় এসেছে প্রসেনজিৎ নাগ নামের এক ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে। তিনি বিধাননগর পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, বইটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও কুৎসামূলক তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে। শুধু বইয়ের ছাপা কপি নয়, সামাজিক মাধ্যমে বইয়ের কোনও অংশ ছড়িয়ে দেওয়া থেকেও বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী শুভঙ্কর অধিকারী জানান, “বইটিতে মিথ্যা ও অপপ্রচারমূলক বক্তব্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হেয় করার চেষ্টা হয়েছে। আদালত যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন, তা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
এ প্রসঙ্গে বারাসতের সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “বিজেপি ও তাদের মদতপুষ্ট গোষ্ঠীগুলি রাজনৈতিক ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোকাবিলা করতে না পেরে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। আদালতের রায়ে সত্যের জয় হল।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা কেবল একটি আইনি লড়াই নয়, বরং রাজনৈতিক ভাষ্যকে ঘিরে সামাজিক দায়িত্ববোধেরও একটি স্পষ্ট বার্তা। আদালতের এই স্থগিতাদেশ সাময়িক হলেও, রাজনৈতিক মহলে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে চলেছে।