Home » “আপনার মতো সীমাহীন বিরোধী জীবনে দেখিনি”: বিধানসভায় শুভেন্দুকে তুলোধোনা করলেন মমতা
বাংলা: বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আপনার মতো সীমাহীন বিরোধী নেতা জীবনে দেখিনি!" পাকিস্তান, কাশ্মীর, ধর্ম ও ওবিসি ইস্যুতে মুখোমুখি উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়।
Table of Contents
Share Our Blog :
Facebook
WhatsApp
আজ বিধানসভা অধিবেশনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাকিস্তান ও কাশ্মীর ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় মুখর হন। “অপারেশন সিন্দুর” প্রসঙ্গ তুলে সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি শুভেন্দুকে আক্রমণ করে বলেন:
“আপনি এত বাজে কথা বলেন! আমি জীবনে আপনার মতো সীমাহীন বিরোধী নেতা দেখিনি!”
শুভেন্দুর বক্তব্যের জবাবে মমতা বলেন, “আপনি কি পাকিস্তানের হয়ে কথা বলছেন? কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সমালোচনায় আমি কিছু বলিনি, কিন্তু আপনার ভাষা দেখে মনে হচ্ছে আপনি দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছেন!”
তিনি আরও জানান, কাশ্মীরের পহেলগাম হামলার পরে একজন জঙ্গিও ধরা যায়নি, যার দায় গোয়েন্দা বিভাগকে নিতে হবে।
✋ “হিন্দু ধর্ম শেখাবেন না, ছদ্ম হিন্দুত্ব বরদাস্ত করবো না”
ধর্ম নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্যের পাল্টা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন:
“আমাদের হিন্দু ধর্ম সার্বজনীন – কারও ঘৃণা, বিভাজন নয়। ছদ্মবেশী হিন্দু হয়ে মানুষকে ভুল পথে ঠেলবেন না।”
📃 ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে বড় ঘোষণা
এদিন অধিবেশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দেন, রাজ্যে ওবিসি সার্টিফিকেট ইস্যু নিয়ে প্রশাসনিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হবে। এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় বাধা উপেক্ষা করেই রাজ্য সরকার এগোবে বলে জানান তিনি।
💬 জনগণের উদ্দেশ্যে বার্তা
মমতা বলেন, “আমরা সেনাবাহিনী, BSF, CISF-এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রাখি। রাজনীতি ধর্মের নামে নয়, মানুষের অধিকারের পক্ষে হওয়া উচিত।”
রাজভবনে চৌরঙ্গীর ফুল নাটক প্রদর্শনের সময় বাজল ‘আমি কলকাতার রসগোল্লা’র মতো চটুল গান। রাজ্যপালের রচনায় নাট্যাভিনয় দেখে অনেকের প্রশ্ন—রাজভবনের গরিমা কি তবে বিনোদনের ভিড়ে হারিয়ে গেল?
বাংলাভাষীদের পরিকল্পিতভাবে দেশছাড়া করছে বিজেপি? আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা HRW-এর রিপোর্ট উদ্ধৃত করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে ‘সংবিধান লঙ্ঘন’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
বিহার নির্বাচনের মুখে সাংবাদিকদের জন্য বড়সড় পেনশন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল নীতীশ কুমার সরকার। ‘বিহার পত্রকার সম্মান পেনশন স্কিম’-এর আওতায় ৬ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হল ১৫ হাজার টাকা মাসিক পেনশন। প্রয়াত সাংবাদিকদের স্ত্রী বা স্বামীও পাবেন আজীবনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে পেনশন। এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
পুজো আগেই এসেছে, আর আসছে চাঁদার ‘লক্ষ্মীলাভ’। এবারে দুর্গাপুজোয় কমিটি পিছু এক লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাসের শেষে নেতাজি ইনডোরে হতে পারে বৈঠক। থাকছে আগের মতোই বিদ্যুৎ ছাড় ও লাইসেন্স ফি মকুবের সম্ভাবনা।