[The Indian Chronicles | কলকাতা, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫]
প্রায় ছয় বছর ধরে পলাতক ছিলেন। ভারতীয় ব্যাংকিং ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির অন্যতম মূলচক্রী মেহুল চোখসি অবশেষে বেলজিয়ামে ধরা পড়লেন। প্রায় ₹১৩,৫০০ কোটি টাকার তছরূপের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বেলজিয়ামের ঘেন্ট শহর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে সেখানকার স্থানীয় পুলিশ, ইন্টারপোল রেড কর্নার নোটিশের ভিত্তিতে।

কে এই মেহুল চোখসি?
মেহুল চোখসি ছিলেন ‘গীতাঞ্জলি জেমস’-এর কর্ণধার। ২০১৮ সালে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (PNB) কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম সামনে আসে। অভিযোগ, জাল এলওইউ (Letter of Undertaking) দেখিয়ে বিদেশি ব্যাঙ্ক থেকে বিশাল অঙ্কের ঋণ তোলা হয়, যা পরে ফেরত দেওয়া হয়নি। তাঁর ভাগ্নে নীরব মোদীও এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত এবং বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বন্দি।
পলাতক জীবনের ইতি?
চোখসি প্রথমে পালিয়ে যান অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডাতে, যেখানে তিনি নাগরিকত্বও গ্রহণ করেন। ভারত সরকার বহুবার তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেও আইনি জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। এবার তিনি কীভাবে বেলজিয়ামে এলেন তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি অন্য পরিচয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন।

ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ইতিমধ্যেই চোখসিকে দেশে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) একযোগে কাজ শুরু করেছে যাতে তাঁকে দ্রুত ভারতে আনা যায় এবং বিচারের মুখোমুখি করা হয়। এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই গ্রেফতারি ভারতের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক জয়।”
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, এতদিন ধরে পলাতক থাকা একজন আর্থিক অপরাধীকে এত দেরিতে কেন ধরা হলো। অন্যদিকে শাসকদল এটিকে “Modi government’s crackdown on financial fugitives” বলে তুলে ধরছে।