১লা জুলাই — এই দিনটি শুধুই একটি তারিখ নয়, বরং কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষাকারী এক বিশেষ শ্রেণির মানুষের প্রতি সম্মান জানাবার দিন। আজ জাতীয় চিকিৎসক দিবস (National Doctors’ Day)। তাঁদের কঠোর পরিশ্রম, আত্মত্যাগ এবং অগাধ সহানুভূতির জন্য এই দিনটি উৎসর্গ করা হয় দেশের সব চিকিৎসকদের।

কেন পালিত হয় ১ জুলাই?
এই দিনটি ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের (Dr. Bidhan Chandra Roy) স্মৃতিতে পালিত হয়। তিনি ছিলেন একাধারে ভারতের প্রখ্যাত চিকিৎসক, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত। তাঁর জন্ম এবং মৃত্যু, উভয়ই হয়েছিল ১লা জুলাই—এই দিনেই। তাই, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং চিকিৎসা পেশার প্রতি সম্মান জানিয়ে এই দিনটি জাতীয় চিকিৎসক দিবস হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে।
👨⚕️ চিকিৎসকদের অবদান: করোনা হোক বা ক্যানসার, চিকিৎসকই ভরসা
আমাদের জীবনের প্রতিটি ধাপে, অসুখ-বিসুখ থেকে শুরু করে, সুস্থতার পথে ফিরিয়ে আনার প্রতিটি প্রয়াসে চিকিৎসকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। করোনা মহামারির সময় আমরা প্রত্যক্ষ করেছি কীভাবে চিকিৎসকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের পাশে থেকেছেন।

কেবল হাসপাতালেই নয়, গ্রামগঞ্জের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে মেট্রো শহরের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল—প্রতিটি স্তরে চিকিৎসকদের সেবাই আজকের ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মেরুদণ্ড।
🏥 এবছরের থিম: “Healing Hands, Caring Hearts”

২০২৫ সালের চিকিৎসক দিবসের থিম—“Healing Hands, Caring Hearts”—অর্থাৎ, চিকিৎসকের শুধু হাত নয়, হৃদয়ও ছুঁয়ে যায় রোগীর জীবনকে। এই থিমের মধ্যেই লুকিয়ে আছে একজন চিকিৎসকের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির মহিমা।
🙏 আমরা কী করতে পারি এই দিনে?
- আমাদের পরিবারের চিকিৎসকদের একটি ধন্যবাদ বার্তা পাঠাতে পারি।
- সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের কাজের প্রশংসা করে পোস্ট করতে পারি।
- কোন স্থানীয় হাসপাতাল বা হেলথ ক্যাম্পে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবী হতে পারি।
- ভবিষ্যতের চিকিৎসকদের অনুপ্রেরণা দিতে পারি।