পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার মূল অভিযুক্ত শ্রীনগরে সেনা অভিযানে নিহত
শ্রীনগর, ২৯ জুলাই: কাশ্মীর উপত্যকায় ফের সাফল্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার মূলচক্রীকে সোমবার একটি এনকাউন্টারে গুলি করে হত্যা করেছে সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীনগরের আলামগারি বাজার অঞ্চলে। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, নিহত জঙ্গিটি ছিল পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শীর্ষস্থানীয় সদস্য।
🔎 কে ছিল এই জঙ্গি? কীভাবে পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে জড়িত?
পহেলগাঁও হামলা হয়েছিল চলতি বছরের জুলাই মাসের প্রথমদিকে, যেখানে একটি পর্যটক বহনকারী বাসে আক্রমণ করে জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় ৯ জন নিহত হন এবং অনেকে গুরুতর আহত হন। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে আসে যে এই হামলার পিছনে ছিল লস্কর-ই-তৈয়বা এবং এর একজন সক্রিয় সদস্য, যার ছদ্মনাম ছিল ‘আবু উসমান’।
সেনাবাহিনীর মতে, শ্রীনগরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিশেষ অভিযান চালানো হয়। জঙ্গিটি আত্মসমর্পণ না করায় গুলি চালাতে বাধ্য হয় বাহিনী। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি M4 কারবাইন, হ্যান্ড গ্রেনেড এবং জিহাদি ডকুমেন্ট।

🛡️ সেনা অভিযানে কিভাবে চালানো হয়েছিল অভিযান?
এই অভিযান ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৫ নম্বর কর্পস এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (SOG)-এর যৌথ প্রচেষ্টা। এলাকাটি সকাল থেকেই ঘিরে ফেলা হয় এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ের পর অবশেষে জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়।
এই অভিযান প্রমাণ করে, কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ এখনও সক্রিয়, তবে নিরাপত্তা বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত। পাশাপাশি, সেনা জানিয়েছে যে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপারেশন চলতে থাকবে যতক্ষণ না পুরোপুরি জঙ্গিমুক্ত হয় উপত্যকা।
🇮🇳 কাশ্মীরে জঙ্গি হুমকির প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
কাশ্মীরে পর্যটন মরসুম চলাকালীন জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে চরমপন্থার বার্তা দিতে চায়। কিন্তু সেনা, CRPF ও পুলিশের সমন্বয়ে চালানো কৌশলী অভিযানগুলি তাদের পরিকল্পনাকে একের পর এক ব্যর্থ করছে। সূত্র মতে, পহেলগাঁও হামলার তদন্ত এখনও চলছে এবং এই অভিযানে পাওয়া তথ্য থেকে আরও অনেক কুখ্যাত জঙ্গির নাম সামনে আসতে পারে।

উপসংহার: আরও কঠোর জঙ্গি দমন নীতি জরুরি
পহেলগাঁও হামলার মূল অভিযুক্তের মৃত্যুর পর স্বস্তি ফিরেছে অনেকাংশে। তবে এই এনকাউন্টার আবারও প্রমাণ করল যে কাশ্মীরে জঙ্গি হুমকি এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। ভারতীয় সেনা ও পুলিশ বাহিনীর কৃতিত্ব এই যে, তারা চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারিতে রেখেছে উপত্যকা এবং দ্রুততার সঙ্গে একের পর এক অপারেশনে সফল হয়েছে।
🔔 আপনার মতামত জানান: এই ধরনের অভিযান কি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হতে পারে? নিচে কমেন্ট করুন এবং শেয়ার করুন আপনার মতামত।