
পাকিস্তানের হাতে J-35: চীনা স্টেলথ যুদ্ধবিমান নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে হওয়া এক বড় প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে ইসলামাবাদ ৪০টি J-35 স্টেলথ যুদ্ধবিমান কিনছে বলে নিশ্চিত হয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সূত্র। এই J-35 যুদ্ধবিমান হল চীনের ফিফথ জেনারেশন ফাইটার জেট, যা অদৃশ্য প্রযুক্তি, আধুনিক অস্ত্র সজ্জা ও উন্নত রাডার প্রতিরোধ ক্ষমতায় সমৃদ্ধ।
প্রথম ব্যাচের জেট পাকিস্তানে পৌঁছাতে পারে ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে।
🔍 কি আছে J-35 এ? বিশেষ ফিচার ও ক্ষমতা

- স্টেলথ ডিজাইন: রাডারে ধরা পড়ে না এমন কাঠামো ও পেইন্ট ব্যবহার।
- AESA রাডার: উন্নত মাল্টি-টার্গেট ট্র্যাকিং ক্ষমতা।
- PL-15 & PL-17 ক্ষেপণাস্ত্র: বহু দূরপাল্লার এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল সজ্জা।
- ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম: শত্রুপক্ষের রাডার ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটাতে সক্ষম।
💰 বাজেটের চাপেও কেন এই সিদ্ধান্ত?
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও এই প্রতিরক্ষা চুক্তি বাস্তবায়ন করছে সরকার। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র তথ্য অনুযায়ী, এই ৪০টি জেটের জন্য প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে পাকিস্তান।
চীন যদিও এই ডিলে ৫০% ছাড় দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে, তবে চীনা নাগরিকদের মধ্যে এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রবল প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
ভারতের জন্য কী বার্তা বহন করছে এই চুক্তি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, J-35 পাকিস্তানের হাতে চলে গেলে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশসীমার ভারসাম্যে পরিবর্তন আসতে পারে। ভারতের ফিফথ-জেনারেশন যুদ্ধবিমান প্রকল্প AMCA এখনো নির্মাণপর্বে রয়েছে। তাই পাকিস্তান ভারতের থেকে অন্তত ৩-৪ বছর এগিয়ে যেতে পারে স্টেলথ প্রযুক্তিতে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা এই ঘটনাকে “Game-Changer” বলে অভিহিত করেছেন। একইসাথে ভারতের এয়ার-ডিফেন্স সিস্টেম যেমন S-400 ও Rafale-এর কার্যকারিতাও নতুন করে মূল্যায়ন প্রয়োজন হয়ে পড়বে।
🛡️ ভারত কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
- AMCA উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে: হালকা কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (LCA) তেজস-এর পর দ্বিতীয় পর্যায়ে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে AMCA।
- বিদেশি সহযোগিতা: ফ্রান্স, রাশিয়া বা আমেরিকার সঙ্গে যৌথ উন্নয়ন প্রকল্পে আলোচনা চলছে।
- সর্বোচ্চ সতর্কতা: ভারতীয় বিমানবাহিনী পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে।
চীনের কাছ থেকে পাকিস্তানের হাতে J-35 যুদ্ধবিমান পৌঁছানো নিঃসন্দেহে দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত মানচিত্রে একটি নতুন ধারা আনতে চলেছে। ভারতকে এখন প্রযুক্তিগত দিক থেকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে যাতে এ অঞ্চলে তার এয়ার সুপ্রিমেসি বজায় থাকে।